ওয়েব ডেস্ক: “গু” অর্থাৎ অন্ধকার, “রু” অর্থাৎ আলো। অন্ধকার থেকে যিনি নাকি আমাদের আলোর পথ দেখান তিনি গুরু। আষাঢ় মাসের পূর্ণিমা তিথিটিতে সেই গুরুর আরাধনা করা মানে জীবন্ত ঈশ্বরের আরাধনা করাকে বোঝায়। এই দিনটি খুবই পবিত্র মনে করা হয় হিন্দুধর্মে। শুধু হিন্দুদের নয় বৌদ্ধদের মধ্যেও এইদিনটি খুবই পবিত্র। এই দিনেই নাকি মহাভারত রচয়িতা মহর্ষি ব্যাসদেব জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাই এই দিনটিকে ব্যাস পূর্ণিমাও বলে।
তাই এই দিনটি স্মরণ করেই গুরুপূর্ণিমা পালন করে হিন্দুরা। শাস্ত্র মতে এইদিনটি অত্যন্ত শুভ তিথি হলেও এবছর এই দিনেই রয়েছে চন্দ্র গ্রহণ। প্রায় ১৫০ বছর পর গুরুপূর্ণিমার দিন চন্দ্র গ্রাস হতে চলেছে। ১৭ জুলাই রাত ১২ টা ১৩ মিনিট থেকে গ্রহণ লাগবে চাঁদে।
রাত ১ টা থেকে ভারতবর্ষের আকাশ থেকে আংশিক ভাবে দেখা যাবে এই গ্রহণ। রাত ৩ টে নাগাদ পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ হবে। এরপর থেকেই গ্রহণ ছাড়তে শুরু করবে। গ্রহণ একটি মহাজাগতিক বিষয়। তবে শাস্ত্র মতে গ্রহণের সময় কোন দেব-দেবীর পুজো নাস্তি। জ্যোতিষ শাস্ত্র বলছে আজকের গ্রহণের ফলে প্রভাব পড়তে পারে বেশ কিছু রাশি-লগ্নের উপর।
ধনু রাশি- গ্রহণের ফলে খারাপ প্রভাব পড়তে পারে ধনুরাশির জাতক-জাতিকার উপর। শারীরিক অসুস্থতা। মানসিক চাঞ্চল্য ও দুশ্চিন্তা বাড়তে পারে। নিকট আত্মীয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ছেদে মর্মাহত হতে পারেন।
মিথুন রাশি- গ্রহণের প্রভাব পূর্ণমাত্রায় থাকবে মিথুন রাশির উপর। মিথুন রাশি বিশেষ করে আদ্রা নক্ষত্রে জাত ব্যক্তির আর্থিক ভাবে সমস্যায় পড়ার আশঙ্কা। কর্মক্ষেত্রে বাধার সম্মুখীন হতে পারেন। মায়ের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তিত থাকবেন। মাথার যন্ত্রণা বা সাইনাসের সমস্যা থাকলে তার প্রকোপ বাড়বে। আগামী তিনদিন বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করার দরকার আছে।
মেষ রাশি- চন্দ্রগ্রহণের ফলে কু-প্রভাব পড়বে মেষ রাশির উপর। পথে-ঘাটে দুর্ঘটনার সম্মুখীন হতে পারেন। রক্তপাত বা অস্ত্রপচারে ফল ভালো হবে না। তাই সাবধানতা অবলম্বন করুন। শত্রুকে যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন।
এই তিনটি রাশি ছাড়া বাকি রাশির উপর চন্দ্র গ্রহণের মিশ্র প্রভাব পড়বে।
তবে ভয়ের কিছু নেই এই দিন অবশ্যই–
১. যথাসাধ্য লক্ষ্মীর আরাধনা করুন।
২. ব্যাবসায় শ্রী বৃদ্ধির জন্য একটি নারকেল লাল কাপড়ে মুড়িয়ে আটা ও সিন্দুর দিয়ে চন্দ্রদেবকে অর্পন করুন।
৩.গরিবকে অন্ন, বস্ত্র দান করুন।
৪.অর্থ কষ্ট দূর করার জন্য উপবাসী থেকে গঙ্গাস্নান করে সত্যনারায়ণের পুজো করুন।
৫.এদিন গ্রহ দোষ থেকে মুক্তি পেতে, ছোলা, মুগডাল, আটা, কালো তিল, কলাই ইত্যাদি সহযোগে নবগ্রহ যন্ত্রমের পূজা করুন।