ওয়েব ডেস্ক: “অস্ট্রোলজি”, বাংলায় যাকে বলে জ্যোতিষ শাস্ত্র, এর নাম শুনলেই অনেকে উড়িয়ে দেন। অঙ্ক কষে গ্রহ নক্ষত্রের পৃথিবীর সঙ্গে দূরত্ব নির্ণয় করে আবার ভবিষ্যৎবাণী করা যায় নাকি? এই দেশে মহামুনি ভৃগু ও পরাশরের গণিতের নির্ণয় থেকে যেমন জ্যোতিষীরা একজন মানুষের ভাগ্য নির্ণয় করে তেমন এই বিষয়ে কোন ভাবেই পিছিয়ে নেই পাশ্চাত্য সভ্যতাও। নস্ট্রাদামুস এমনই একজন ব্যতিক্রমী মানুষ যিনি চিকিৎসা বিজ্ঞানের উপাসক হয়েও অকাল্ট সাইন্সের প্রতি আকৃষ্ট ছিলেন।
গবেষনা করতে করতে এখন তাঁর সাংকেতিক অক্ষরের ভবিষ্যৎবাণীই গবেষণার বস্তু, যা অখণ্ডিত হয়ে একের পর এক মিলেই চলেছে এমনটাই মনে করেন নস্ট্রাদামুসের ভবিষ্যৎবাণীর গবেষকরা। ষোড়শ শতাব্দীর এই দুনিয়া কাঁপানো জ্যাতিষীর মৃত্যুর ৪৫০ বছর পরেও তাঁর লেখা ভবিষ্যৎবাণী নাকি মিলেই চলেছে। এই ডিজিটাল দুনিয়ার যুগেও তাঁর ভবিষ্যৎবাণী কাঁপিয়ে চলেছে। ১৫৫৫ সালে নস্ট্রাদামুসের লেখা “Les Propheties” গ্রন্থে তিনি ছন্দ মিলিয়ে কতগুলি সাংকেতিক ভাষার মাধ্যমে বর্ণনা করে গেছেন আগামী ৩৭৯৭ সাল পর্যন্ত কি হতে চলেছে পৃথিবীতে।
এই সাংকেতিক ভাষাগুলি অধিকাংশই লেখা হয়েছে গ্রিক, ল্যাটিন, হিব্রু, ইতালিয় ভাষায়। পৃথিবী বিখ্যাত এই জ্যোতিষীর ভবিষ্যৎবাণী বলছে পৃথিবীর শেষ দিনে আসতে চলেছে মহাপ্লাবন।তবে কি ৩৭৯৭ সাল পর্যন্ত পৃথিবীর আয়ুষ্কাল! আর তারপরেই হবে ধুমকেতুর ঝড়, সেই ঝড়েই টুকরো হয়ে যাবে এই গ্রহ। নিছক অবৈজ্ঞানিক বলে যারা এই যুক্তিকে খণ্ডন করেছেন তারা হয়েতো গ্লোবাল ওয়ার্মিং-এর তত্ত্বকেও একাই ভাবে খারিজ করত পারবেন না। তবে সেই দিন আসতে এখনও বাকি প্রায় ৫০০০ বছর এমনটাই বলেছেন এই দার্শনিক জ্যোতিষী।
http:// https://www.yearly-horoscope.org/nostradamus-predictions/
এই লিঙ্কের তথ্য অনুযায়ী নাস্ট্রাদামুসের ভবিষ্যৎবাণী কি তবে ফলতে চলেছে! নাকি নিছকই কল্পনা প্রসুত?
কিন্তু এই জ্যাতিষী ২০১৯ সালে কি ভবিষ্যৎবাণী করেছেন জানেন?
১. চলতি বছরে আবহাওয়ার ব্যাপক পরিবর্তন দেখা দেবে। ইউরোপ জুড়ে ভয়াবহ বন্যায় অসংখ্য মানুষের মৃত্যু হবে।
২. মধ্যপ্রাচ্যে অন্ধবিশ্বাস আর ধর্মীয় মৌলবাদ মাথা তুলে দাঁড়াবে। ধর্ম নিয়ে তোলপাড় শুরু হবে প্রাচ্যের দেশগুলিতে। বিশাল গৃহযুদ্ধ ও সন্ত্রাসবাদী হানার ফলে ইউরোপ ও আমেরিকায় প্রাচ্যের মানুষ শরণার্থী হয়ে ঢুকতে শুরু করবে।
৩. উষ্ণায়নের ফলে ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে আসবে আমেরিকা জুড়ে।
৪. খ্রীষ্টান ধর্মগুরুর আকস্মীক মৃত্যুর ফলে বিশ্বযুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হবে।
৫. বায়ুদূষণ নিয়ে বিশ্বের সমস্ত নেতারা একমত হবেন।
৬. মানুষ ও পশুর ঘনিষ্ঠতা বাড়বে।
যদিও এই সমস্ত কিছুই কাল্পনিক বলে মনে করেন বিজ্ঞানীরা। আসলে নস্ট্রাদামুস ছিলেন একজন বড় দার্শনিক। সভ্যতার অগ্রগতি পৃথিবীকে কোথায় নিয়ে যেতে পারে তার আগাম অনুমান করার ক্ষমতা তার ছিল। তাই নস্ট্রাদামুসের ভবিষ্যৎবাণীর কিছু কিছু বিষয় বাস্তবের সঙ্গে সাঞ্জস্যপূর্ণ কিছু আগাম সূত্র অবশ্যই মেলে তাঁর দর্শন থেকে। তা হলেও এগুলি সবই একজন দার্শনিক, বৈজ্ঞানিকের আনুমান নির্ভর বলেই মনে করেন বিজ্ঞান গবেষকরা।