Date : 2024-04-19

গাও লোকগীতি বাড়াও সম্প্রীতি, অস্থির সময়ে উজানিয়ার ডাক….

কলকাতা: বাংলার মহাজনীপদ কর্তাদের দেখানো পথে উজানিয়ার মানবতার গান। শুধুমাত্র বিনোদন নয়, গান হয়ে উঠুক অস্থির সময়ে সম্প্রীতির হাতিয়ার। “ বাঁচার জন্য ধর্মকর্ম, নইলে ধর্মে কোন সাফাই…” ধর্মের অন্ধত্ব নয় বরং গানের ধর্মে সমাজ হয়ে উঠুক সুন্দর। ২৭ জুলাই শনিবার জালালুদ্দিন শাহ, কুবির গোসাঁই,হাসন রাজা, রাধারমন, লালন ফকিরদের গানতো ছিলই, তাঁর সঙ্গে এই প্রজন্মের কারণ দাস ,নাজমুল হক ও শিবাশিস দন্ডের কথায় উজানিয়ার আসর মেতে উঠেছিল মানবতার গানে।

অমর শিল্পী অমর পাল ও কিংবদন্তি শিল্পী নির্মলেন্দু চৌধুরীর স্মরণে উজানিয়ার এই প্রয়াসে গলা মিলিয়েছেন লোকসঙ্গীত শিল্পী জয়শংকর, প্রাণেশ সোম ও রাজকুমার।

মেয়র পারিষদ দেবাশীষ কুমার, রতন দে, সঙ্গীত শিল্পী সৈকত মিত্র, চিত্র শিল্পী সমীর আইচ ও সুব্রত গাঙ্গুলি, আলোক চিত্র শিল্পী অতনু পাল, অভিনেতা সুভাশিস মুখোপাধ্যায়, পর্বতারোহী দেবাশিস বিশ্বাস এমনই অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বের সমাগমে কলকাতার রবীন্দ্র সদনের প্রেক্ষাগৃহে বাংলার লোকগানকে শ্রোতা, দর্শক অনুভব করলেন নতুন আঙ্গিকে।

অনুষ্ঠানের প্রাক্ কথনে সঞ্চালক সুজয় দাস বর্তমানে দেশের রাজনৈতিক ও সংস্কৃতিক প্রেক্ষাপটে এই বিশেষ উদ্যোগের প্রয়োজনীয়তাকে তুলে ধরেন। উজানিয়ার প্রাণ পুরুষ নাজমুল হক জানান, নিত্যদিনের রাজনৈতিক হিংসা, অভিজন ও বিদ্বেষে হারিয়ে যাচ্ছে একতার সংস্কৃতি। লোক সঙ্গীত শিল্পী ও প্রয়াত কিংবদন্তি শিল্পী নির্মলেন্দু চৌধুরীর পরিবারের সদস্য গীতা চৌধুরীকে সম্মান জানিয়ে উজানিয়া লোকসঙ্গীতের এই মঞ্চে তুলে ধরেন বাংলার পরম্পরা।

মেরুকরণের ভিত্তিতে উগ্রধর্মীয় মৌলবাদ গ্রাস করছে বাংলার সংস্কৃতির পরম্পরা ও কৃষ্টিকে। তাই নানা ভাষা নানা মতের এই দেশে বাংলার এই মহাজনীপদ ও লোকগান আবারও নতুন পথ দেখাবে। হিংসা, বিদ্বেষ ও ধর্মীয় মৌলবাদের উর্ধ্বে উঠে শিল্পীরাই পারেন মনবতার ধর্মকে প্রতিষ্ঠা করতে। শ্রদ্ধেয় লোকশিল্পী নির্মলেন্দু চৌধুরীর ৯৭ তম জন্মতিথিতে উজানিয়ার এই উদ্যোগ এভাবেই দৃষ্টান্ত রাখলো মহানগরের প্রাণকেন্দ্রে।