ওয়েব ডেস্ক: আজও আমাদের দেশে কেবল দুমুঠো খাবার না জোগাড় করতে পেরে মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়ে কত মানুষ। চেষ্টা করলেই কিন্তু এই সমস্যার সমাধান সম্ভব। শুধু তার জন্য মনে থাকতে হবে প্রবল ইচ্ছে।
কারণ, ইচ্ছে থাকলেই উপায় হয়। এক যুগল এমনই একটি প্রচেষ্টাকে সফল করে দেকালো। রোজ হাসপাতালে ভর্তি হয় হাজারও মানুষ। কোনোরকমে তারা নিজেদের চিকিৎসার খরচটুকু জোটায়।
যাদের চিকিৎসা করানোর সামর্থ নেই তাদের উদ্দেশ্যে তামিলনাড়ু সরকার চেষ্টায় আছে এমন একটি ব্যবস্থা শুরু করার যার মাধ্যমে সরকারি হাসপাতালগুলিতে বিনা বা স্বল্পমূল্যে চিকিৎসা করানো যায়।
কিন্তু এছাড়াও আরও অনেক বিষয় আছে যেগুলি প্রয়োজনীয়। যেমন, খাবার, জামাকাপড় ইত্যাদি। সেই সমস্যার কিছুটা সমাদান করেছেন এক যুগল। ইরোদ হাসপাতালের সামনে একটি খাবারের দোকান আছে ভি. ভেঙ্কটরমন ও জি.রাজলক্ষ্মীর। তারা রোজ রোগী ও তাদের পরিবারকে খাবার দেন কেবলমাত্র ১ টাকার বিনিময়। প্রতিদিন অন্তত চেষ্টা করেন দিনে ৭০ জনকে খাওয়াতে। তাঁদের এই খাবারের দোকানটি আজ প্রায় অনেক বছর ধরেই আছে। ওনাদের অন্য আরেকটি রেঁস্তোরাও আছে।
দুজনেই চেষ্টা করেন রোজকার যেন খাবারের গুণমান ভালো থাকে এবং যত বেশি সংখ্যক মানুষদের খাওয়াতে পারে। রোজ দিনের শুরুতে প্রায় ৬০-৭০ জনকে পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্রেকফাস্ট/ ডিনার বা লাঞ্চের টোকেন দিয়ে দেন ওনারা। প্রতিদিন তাঁদের খরচ হয় প্রায় ১৫০০ থেকে ২০০০টাকা। তবে মাত্র ১ টাকা করেই তাঁরা নেন রোগী বা তাদের বাড়ির লোকেদের থেকে। তাঁরা এটাও বুঝতে পেরেছেন যে ওনাদের বেশিরভাগেরই চিকিৎসা করার তো দূরেরই কথা, থাকা, খাওয়া, শোয়া এবং ওষুধ কেনারও টাকা নেই। শীতাকাল এলে সেইসব মানুষদের শুতে হয় মেজেতে।
যেখানে শোয়ার পরেও গায়ে দেওয়ার মতো থাকেনা কিছুই। তাই দুজনে মিলে সেইসব গরীব মানুষদের উদ্দেশ্যে বিনামূল্যে গায়ের চাদর, বাথরুম, জুতো, ইত্যাদির ব্যবস্থা করেছেন। ২০১১ সালে ভি. ভেঙ্কটরমনকে দেওয়া হয়েছে উইকেন্ড লিডার অ্যাওয়ার্ড। তবে ওনারা যে কাজটি করছেন সেটার দাম কেবল একটি অ্যাওয়ার্ডের মাধ্যমে হয়তো দেওয়া সম্ভব নয়।