লোকসভা নির্বাচনে, খারাপ ফলের পর তৃণমূলের প্রথম বড় সমাবেশ। সামনে চ্যালেঞ্জ অনেক। দলীয় কর্মীদের জন্য কোন শপথের বার্তা বেঁধে দেবেন মমতা?২১ শের মঞ্চে আজ স্লোগান, “গণতন্ত্র ফিরিয়ে দাও, মেশিন নয় ব্যালট ফেরাও।”
এই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে তৃণমূল যে আগামী দিনে কেন্দ্রে বিজেপির বিরুদ্ধে সক্রিয় আন্দোলনের মুখে চাইছে তা একুশের মঞ্চ থেকেই তৃণমূল সুপ্রিমো সরাসরি বার্তা দিতে চাইছেন দলের কর্মী সংগঠন কে। একুশে জুলাই এর মঞ্চে ইতিমধ্যে যোগ দিতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অসংখ্য তৃণমূল কর্মী দলে দলে মিছিল করে এগিয়ে আসছে ফলে শহরের রাজপথ গুলিতে সকাল থেকেই ঢল নেমেছে অগণিত তৃণমূল কর্মী সমর্থকের।
হাওড়া ও শিয়ালদহ স্টেশন থেকে একে একে অসংখ্য মিছিল মৌলালি হয়ে এস এন ব্যানার্জি রোড ধরে এগিয়ে আসতে শুরু করেছে ধর্মতলার দিকে। একইভাবে সেন্ট্রাল এভিনিউ, বিবাদি বাগ, জওহরলাল নেহেরু রোড সহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা গুলি ইতিমধ্যে মিছিলের দখলে চলে গিয়েছে। যদিও জান নিয়ন্ত্রণের জন্য কলকাতা পুলিশ প্রথম থেকেই সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। শহরের প্রত্যেকটি রাস্তায় আজ সকাল থেকেই পুলিশের একাধিক উচ্চপদস্থ আধিকারিক দায়িত্বে থাকছেন।
সমাবেশস্থল ঘিরে ফেলা হয়েছে একাধিক জায়েন্ট স্ক্রিন এবং সিসিটিভি ক্যামেরায়। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিট এর ব্রেবোর্ন রোড এর একাংশ।শহরের বিভিন্ন রাস্তায় রয়েছেন কলকাতা পুলিশের 7 থেকে 8 জন ডেপুটি কমিশনার। প্রায় 5 থেকে 7 হাজার পুলিশ কর্মী সবার নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন। সভাস্থলে অসুস্থ কর্মী-সমর্থকদের সহায়তার জন্য থাকছে পুলিশের কিউআরটি।
এছাড়াও থাকবে কলকাতা পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। কোথায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে রাখতে থাকছে অতিরিক্ত ট্রাফিক পুলিশ। তাই সকাল থেকেইবাজার গিরিশ পার্ক সেন্ট্রাল এভিনিউ এবং মৌলালির এস এন ব্যানার্জি রোড বিশাল অংশে সম্পূর্ণ যান নিয়ন্ত্রণ করে হয়েছে তৃণমূলের 21 শে জুলাই শহীদ সমাবেশ উপলক্ষ্যে।