Date : 2024-03-28

সোশ্যাল মিডিয়ার জের, ২৪ বছর আগের মানুষকে খুঁজে পেলেন এই রিফিউজি মহিলা

ওয়েব ডেস্ক: সালটা ১৯৯০, এই সময়টাতেই শুরু হয়েছিল উপসাগরীয় যুদ্ধ।আর সেই উপসাগরীয় যুদ্ধে নিজের মাতৃভূমি ছেড়ে অনেককেই পাড়ি দিতে হয়েছিল বাইরের নানান দেশে।যেমনটা হয়েছিল ইরাকের কুর্দিশ নাগরিক মেভান বাবাকারের ক্ষেত্রে।ছোট্ট মেভান বাবা মায়ের সঙ্গে পৌছে গিয়েছিল নেদারল্যান্ডের জোলিতে এক রিফিউজি ক্যাম্পে।১৯৯৪ থেকে ৯৫ পর্যন্ত সেখানকার রিফিউজি ক্যাম্পে কেটেছে তার সময়।আর সেখানে কাটানো এই ১ টি বছরে স্মৃতির মণিকোঠায় যে ব্যক্তিটি জায়গা করে নিয়েছিল তিনি হলেন ওই রিফিউজি ক্যাম্পেরই একজন কর্মী।রিফিউজি ক্যাম্প ছাড়ার দিন যিনি মানবিকতার সঙ্গে উপহার হিসেবে সেই ৫ বছরের ছোট্ট মেয়ে ও তার মায়ের হাতে তুলে দিয়েছিলেন দুটি বাইসাইকেল।আর সেই বাইসাইকেল পেয়ে খুশিতে ডগমগ হয়েছিলেন সেদিনের ছোট্ট মেভান।

মাঝখানে পেরিয়ে গেছে অনেকটা বছর।এখন মেভান বাবাকার নামের সেই মহিলা লন্ডনে থাকেন। তবুও সেই মানুষটি কিন্তু মন থেকে মুছে যায়নি মেভানের। হোক না বা ছোট একটি সাইকেল।তবে উপহার পেলেও সেই মানুষটির নাম জানতেন না মেভান।তাই সেই নাম না জানা মানুষটিকে খুঁজতে একবার চেষ্টা করেছিলেন তিনি।একটি ছবি দিয়ে টুইটে তার সমন্ধে বিবরনও দেন বছর ২৯ এর সেই মেয়ে।তার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই নিমেষেই ভাইরাল হয়।খোঁজও মেলে সেই নাম না জানা মানুষটির।

এগবার্ট নামের সেদিনের সেই রিফিউজি ক্যাম্পের কর্মচারীর বাসস্থান এখন জার্মানি।সেখানে গিয়ে তাকে দেখাও করেন মেভান।এত বছর পর দুজনের সাক্ষাৎ বেশ খুশি এগবার্টও।সোশ্যাল মিডিয়া যুগে এখন যে আর মানুষকে খুঁজে পাওয়া অসম্ভবের কিছু নয় তা প্রমান হল আরও একবার।