ওয়েব ডেস্ক: আজকের মেয়েরা পারে না এমন কোনও কাজ খুঁজে পাওয়া দুস্কর। যুদ্ধ করা থেকে শুরু করে বাড়িঘর সামলে চাকরি করতে যাওয়া, বিজ্ঞানের পাতায় নিজের নাম রেখে যাওয়া। “পারে না”, এই শব্দটা একেবারেই বেমানান যেন আজকের নারীর সঙ্গে।
২৬ বছর বয়সী বিপাশা হ্রাঙ্গখাওয়াল, বাড়ি ত্রিপুরার খোয়াই জেলার রঙ্গোমুরা গ্রামে, সে হয়েছে ভারতের প্রথম মহিলা এয়ার ট্রাফিক কনট্রোলার (Air Traffic Controller, ATC)। মুম্বাই ইউনিভার্সিটি থেকে ইলেক্ট্রনিক্স ও টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পাশ করেন তিনি।
২০১৭ সালে মুম্বাইয়ের ছত্রপতি শিবাজি বিমানবন্দরে সহকারী এয়ার ট্রাফিক কনট্রোলার হিসেবে কাজ করতে শুরু করেন। পরে তাকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় মহারাজ বীর বিক্রম বিমানবন্দর অর্থাৎ আগরতলায়। সেখানে বিপাশা তাঁর বাবা অসুস্থ থাকার দরুন তাঁরও খেয়াল রাখতে শুরু করেন। কিন্তু বিপাশার বাবার স্বপ্ন ছিল যে তাঁর মেয়েকে যেন ATC রূপে কাজ করতে দেখতে পারেন।
কিছুটা বাবার স্বপ্নের নৌকাকে পাড়ে পৌঁছে দিতেই চাকরির পরীক্ষায় বসে সে। বিপাশার কথায়, সে পরীক্ষা দিতে যাওয়ার আগে পর্যন্তও জানত না যে কি ধরণের প্রশ্ন আসতে পারে বা ইন্টারভিউতে কেমন প্রশ্ন জিজ্ঞেস করতে পারে। ইন্টারনেটের মারফত যেটুকু তথ্য সংগ্রহ করা যায় সেটুকু ছাড়া আর কিছুই জ্ঞান ছিল না তার। কিন্তু সেই সেই পরীক্ষাও জয় করে বিপাশা। তাঁকে ৬ মাসের জন্য ট্রেনিংয়ে রাখা হয়।
তাঁকে জিজ্ঞেস করলে শোনা যায় বিপাশার গর্বিত স্বর। বলেন স্বর। বলেন, “আমি খুবই গর্ববোধ করছি যে আমি ATCএর গাইডিং এয়ারক্র্যাফটে বসে। ATCকে সবথেকে পৃথিবীর কঠিনতম কাজ বলা হয়। কারণ তাঁর পুরো কাজটাই হয় প্রতিটা প্লেনের নম্বরের সঙ্গে, যা বহন করছে হাজারেরও বেশি যাত্রী। একটা ভুল ধ্বংস করে দিতে পারে সবটা এক নিমেষে।”