ওয়েব ডেস্ক: অ্যাপ ক্যাবে মেয়েরা যে একেবারেই সুরক্ষিত নয় তার প্রমাণ আগেও মিলেছে। অসুরক্ষার ফের এক নজির গড়ল ব্যাঙ্গালোরের একটি ঘটনা। গত শনিবার রাতে অফিস কলিগদের সঙ্গে ডিনার সেরে বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্যে একটি উবের বুক করেন।
গাড়িতে ওঠার পর পরই গাড়ির চালক ফোনে কারোর সঙ্গে কথা বলছিলেন কাস্টমাররা আজকাল খুব খারাপ এই বিষয়ে। হঠাৎই ফোনে কথা বলতে বলতে সেই চালক অপর্ণার দিকে ঘুরে তাকায়। এবং তাঁকে বলেন, ভালো বাড়ির মেয়েদের অফিস থেকে বিকেল ৭টার আগে বেরোনো উচিৎ এবং অফিসের সহকর্মীদের সঙ্গে তরল পান করা সভ্যতা নয়।
এই কথা শোনার পরে, অপর্ণা সেই চালককে বলেন যে, সে একেবারেই মদ্যপ নয়, এবং নিজের কাজে মন দিতে বলেন। এরপরই পরিস্থিতি খারাপের দিকে যেতে থাকে। সেই চালক অপর্ণাকে গালাগলি করে, এবং বলে সে নাকি জুতো পরিষ্কার করারও যোগ্য নয়। এরপরই সেই চলকটি গাড়ির গতী কমাতে থাকে। এরকম একটা পরিস্থিতি প্রচন্ড ভয় পেয়ে যায় অপর্ণা। এবং উবের অ্যাপে সেফটি বাটনটি প্রেস করে দেয়।
তার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই উবেরের কাস্টমার কেয়ার অপর্ণাকে পোন না করে, করে সেই চলককে। এবং সেই ক্যাবের চালকও কাস্টমার কেয়ারকে বলে যে, অপর্ণা আসলে মদ্যপ অবস্থায় আছে। আরও ভয় পেয়ে গিয়ে চিৎকার করে কাঁদতে থাকে অপর্ণা। কাস্টমার কেয়ারের সঙ্গে কথা বলে অপর্ণা। সেখান থেকে অপর্ণাকে ক্যাবটি ছেড়ে দিতে বলা হয়। এবং বলা হয় যে তারা কিছুক্ষণের মধ্যেই আরেকটি ক্যাবের ব্যবস্থা করে দিচ্ছে।
সঙ্গে সঙ্গে সেই ক্যাব ড্রাইভারও ততক্ষণে নানাভাবে ভয় দেখাতে শুরু করেছে অপর্ণাকে। এমন কি তাঁকে বলা হয় যে, গাড়ি থেকে না নামলে অপর্ণার জামা ছিঁড়ে দেবে সে। ভয়ে নেমে যায় গাড়িটি থেকে। তখন ঘড়িতে সময় বলছে রাত ১১টা বেজে ১৫ মিনিট। রাস্তা পুরো শুনশান। ১৫ মিনিট পরেও কাস্টমার কেয়ার থেকে কোনও ফোন না আসায় আরোই ভয় পায় অপর্ণা। সেও প্রচুর চেষ্টা করে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার, কিন্তু তা সম্ভব হয়ে ওঠে না। পরে তার কয়েকজন বন্ধুকে ফোন করে সে। যদিও উবেরের বক্তব্য তারা অনেকবার অপর্ণাকে ফোন করে পাননি। ট্যুইটারে নিজের অভিজ্ঞতার কতা জানিয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যেই ব্যাঙ্গালোর পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।