ওয়েব ডেস্ক: ফের শহরে বেপরোয়া বাসের রেষারেষির বলি ১। শুক্রবার দুপুরে গড়িয়াহাটে দুটি বাসের বেপরোয়া গতির জন্য কান ছিঁড়ে পড়ল এক যাত্রীর। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই যাত্রীকে নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকুরিয়া আমরি হাসপাতালে। পরে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন ওই যাত্রীর কানের অবস্থা শঙ্কটজনক প্লাস্টিক সার্জারি করতে হবে কানে।
এছাড়া হাত ও কনুইতেও ব্যাপক চোট লেগেছে। আহত যাত্রীর নাম সমীর পাল, বয়স ৬৫। শুক্রবার সকালে ঢাকুরিয়ার ওই বাসিন্দা ২১২ রুটের বাসে ওঠেন। এরপরেই ১৩ সি রুটের একটি বাস ২১২ রুটের বাসের পাশে চলে আসে। ওভারটেক করতে গিয়েই জানলার পাশে থাকা ওই যাত্রীর দুটি কানই কেটে যায়। শরীর থেকে দুটি কানই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় তার প্লাস্টিক সার্জারি জরুরি বলে জানিয়েছেন ডাক্তাররা। ইতিমধ্যে দুটি ঘাতক বাসের চালক ও খালাসিকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাস দুটিকে গড়িয়াহাট থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এই নিয়ে অল্পদিনের মধ্যেই শহরে পরপর তিনটি বাস দুর্ঘটনা ঘটে গেল। এর আগে ৪০ বি রুটের বাসে টালিগঞ্জ করুনাময়ীর কাছে এক যাত্রীর হাত কেটে বাইরে পড়ে যায়।তার কিছুদিনের মধ্যেই টলিগঞ্জ ট্রাম ডিপোর কাছে পৈলান থেকে হাওড়়াগামী ১২সি/১বি রুটের একটি বেসরকারি বাস পাশের আর একটি বাসকে ওভারটেক করতে যায়। সেই সময়েই ওই বাসের পাদানিতে দাঁড়িয়ে ছিলেন নারায়ণ মালিক। তখনই গুরুতর চোট পান ওই যাত্রী।
আহত যাত্রীকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় এমআর বাঙ্গুর হাসপাতালে। তারপর সেখান থেকে তাঁকে পাঠানো হয় এসএসকেএম-এ। চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, সম্ভবত অস্ত্রোপচার করে বাদ দিতে হবে নারায়ণ মালিকের কান। শহরে ক্রমশ বেড়ে চলা পথ দুর্ঘটনার কারণে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ট্রাফিক কন্ট্রোল নিয়ে।