Date : 2024-04-25

‘আমি টরেড দেশ থেকে এসেছি’, অস্তিত্বহীন দেশের নাম করে অদৃশ্য ব্যক্তি!…

ওয়েব ডেস্ক: সময়টা ১৯৫৪ সাল, জাপানের টোকিও শহরের হানেদা এয়ারপোর্টে সকাল সকাল এসে হাজির হয় ইউরোপ থেকে আগত একটি বিমান। সেই বিমানের আরও মানুষের মতোই লাইনে দাঁড়িয়ে পড়েন হ্যাট, কোর্ট, প্যান্ট পড়া একজন শ্বেতাঙ্গ মানুষ। কাস্টম অফিসাররা নিয়ম মেনে চেক করতে থাকে সকলের পাসপোর্ট। কিন্তু কাস্টমস অফিসাররা তখনও জানতেন না যে তারা এক রহস্যজনক ঘটনার সামনা-সামনি হতে চলেছেন। সকল যাত্রীর পাসপোর্ট চেক করতে করতে ওই যাত্রীর পাসপোর্ট চেক করতে গিয়ে চোখ কপালে ওঠে কাস্টমস অফিসারদের।

ওই ব্যক্তির পাসপোর্টে দেশের নামের জায়গায় লেখা ছিল ‘টরেড’। অথচ কর্তব্যতর কাস্টমস অফিসার এই নামে কোন দেশের নামই শোনেননি। স্বভাবতই জাল পাসপোর্ট ভেবে ওই ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ। নিয়ে যাওয়া হয় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। পুলিশি জেরার মুখে পড়ে ওই ব্যক্তি নিজেকে একজন ব্যবসায়ী বলে পরিচয় দেন এবং একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়ীক কাজে তিনি টরেড থেকে জাপানে এসেছেন বলে পুলিশকে জানান। ব্যক্তি বার বার মিথ্যা কথা বলে যাচ্ছেন ভেবে জাপান পুলিশের পক্ষ থেকে ভালো ভাবে পরীক্ষা করা হয় তার পাসপোর্ট ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নথি।

কিন্তু কোন নথিই জাল প্রমানিত হয়নি। ফলে আরও চিন্তায় পড়ে যান সেখানকার প্রশাসন। এমনকি ওই ব্যক্তি বেশ কিছু ইউরোপীয় মুদ্রা ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যাওয়ার প্রমান দেখিছিলেন পুলিশকে। অবশেষে ব্যক্তিকে ম্যাপ খুলে দেখানো হয় জাপান এয়ারপোর্টে কর্তব্যরত অফিসারদের পক্ষ থেকে।

আরও পড়ুন : শূন্যে ভাসছে মন্দিরের থাম! কাপড় রাখলেই হবে সৌভাগ্যপ্রাপ্তি

পৃথিবীর ম্যাপ দেখিয়ে তাকে নিজের দেশ খুঁজতে বললে তিনি স্পেন ও ফ্রান্সের মধ্যবর্তী একটি স্থানকে “টরেড” দেশ হিসাবে চিহ্নিত করেন। তিনি সেখানকারই বাসিন্দা বলে প্রমান দিতে থাকেন জাপানি পুলিশকে। জাপানের প্রশাসনের নির্দেশে সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তিকে পুলিশ আটক করে একটি হোটেলে রাখেন উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য।

কিন্তু পরদিন সকালে ঘটে যায় আরও অদ্ভুত ঘটনা। হোটেলের রুমের দরজা খুলে পাওয়া যায়নি কোন ব্যক্তিকে এমনকি ওই ঘরে তার জিনিসপত্রে ধুলোর অস্তিত্বও পায়নি পুলিশ। ঘটনার পর হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেও মেলেনি পালিয়ে যাওয়ার প্রমাণ। রুদ্ধদ্বার থেকে কিভাবে ওই ব্যক্তি কোথায় গায়েব হয়ে গেছিলেন আজও তার কোন প্রমাণ মেলেনি জাপান সরকারের কাছে। এমনকি ওই ব্যক্তির আর কোন প্রমাণ ও নথিপত্রও খোঁজ করেও কোথাও থেকে পাওয়া যায়নি। এই অদ্ভুত ঘটনার উত্তর আজও দিতে পারেনি বিজ্ঞান।