Date : 2024-04-20

পশ্চিমবঙ্গ থেকে সুদূর কানাডায় পৌঁছে গেল “মেদিনীপুর”!…

ওয়েব ডেস্ক: মেদিনীপুর যেতে চান, এটা বললে এবার কানাডায় পৌঁছে যেতেও পারেন। খরগপুর, গড়বেতা বা ডেবরা নয়, এই মেদিনীপুরের একদিকে আছে ফিশক্রিক পার্ক অন্যদিকে আছে ম্যাকলেয়ড ট্রেল। বাংলা নয়, সুদূর কানাডায় গেলেও মিদনাপুরে সন্ধান পেয়ে যাবেন আপনি। অবাক লাগলেও এটাই সত্যি ১৮৩৪ সাল থেকে কানাডার অ্যালবার্ট প্রদেশে এই জনপদটি অবস্থিত। তবে কেন এই জনপদর নাম মিদনাপুর তাই নিয়ে তেমন কোন তথ্য নেই। বাংলা থেকে কানাডার দূরত্ব প্রচুর। কিন্তু নামের এত মিল কি করে দুই জায়গায় সেটাই প্রশ্ন।

ইংরাজী নামের সঙ্গে মিল থাকলেও বাংলা নাম বা উচ্চারণের সঙ্গে মিল নেই এই দুই জনপদের। ইংরাজিতে এই জনপদটির নাম Midnapore, উচ্চারণ করলে হয় ‘মিদনাপুর’। এমন নামকরণের জন্য ইতিহাস সন্ধানে গুগলের সাহায্য নিতেই পারেন তবে অনেকগুলি কারণ সামনে আসবে। যদিও সেই কারণের সাপেক্ষে নির্ভরযোগ্য তথ্য নেই। লোকমুখে প্রচলিত আছে, কানাডার এই জনপদের নাম ছিল ফিশক্রিক। ফিশক্রিক নামে জনৈক সাহেবকে চিঠি লিখেছিলেন অজ্ঞাত পরিচয়ের এক ব্যক্তি।

সেইখানেই ঠিকানার জায়গায় লেখা ছিল মিদনাপুর। কোনভাবে সেই চিঠি পৌঁছে যায় ওই জনপদে।সাহেব জন ব্লেন ওই চিঠি দেন তাঁর প্রতিবেশী স্যামুয়েল শ’কে।

স্যামুয়েল ছিলেন প্রথম পোস্ট মাস্টার। ব্লেন ভেবেছিলেন, পোস্ট মাস্টার নিশ্চয়ই ঠিকানা বলে দেবেন। কিন্তু তিনিও নাকি বলতে পারেননি। তারপর এই স্যামুয়েলই নাকি ফিশক্রিকের নামকরণ করেন মিদনাপুর।

আরও একটি কাহিনী প্রচলিত আছে স্যামুয়েলকে নিয়ে। জানা যায়, নিজের ছোট্ট মেয়েকে কাছে বসিয়ে ওই জনপদের নাম ঠিক করতে বসেছিলেন তিনি। অষ্টাদশ শতাব্দীর মধ্যভাগে এভাবেই নাকি এই জনপদের নামকরণ হয়। এছাড়াও প্রচলিত আছে আরও একটি কাহিনী। ক্যাপ্টেন বয়নটন নামে জনৈক নৌসেনা আধিকারিক নাকি ভারতবর্ষ থেকে কানাডায় আসেন মিদনাপুর নাম নিয়ে। তাঁর নাম অনুসারেই নাকি ওই স্থানের নাম হয়ে যায়।

বাংলা থেকেও বহুদূরে অন্য একটি জনপদ পরিচয় পায় মিদনাপুর নামে। যদিও দুই শহরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য একেবারেই ভিন্ন। কানাডার মিদনাপুর পাহাড়ে ঘেরা শহর। মনোরম আবহাওয়া, টলটলে নীল জলের লেক চোখে পড়বে। আমাদের দেশে একই নামের একাধিক স্থান থাকার নজির রয়েছে। কিন্তু সুদূর কানাডায় মেদিনীপুরের নামে একটি জনপদ যে থাকতে পারে সেটা বেস অবাক করে দেওয়া ঘটনা।