Date : 2024-04-26

যাদবপুরে চড়ছে আশান্তির পারদ, গার্ডওয়ালে আটকেও অনড় এবিভিপি, পাল্টা স্লোগান বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪নং গেটে….

কলকাতা: কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে নিগ্রহ করার ঘটনার তিনদিন কেটে গেলেও অশান্তি থামেনি। সোমবার সকাল থেকে এবিভিপি-র প্রতিবাদ মিছিল শুরু হয়, মন্ত্রীকে নিগ্রহের ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে এদিন গোলপার্ক থেকে মিছিল করে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে যান এবিভিপি-এর সমর্থকরা। মিছিল করে তারা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করবেন এবং ডেপুটেশন জমা দেবেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীকে নিগ্রহ করার প্রতিবাদে। এদিকে এবিভিপি-র সমর্থকদের আটকাতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪নং গেটে অবস্থান, স্লোগান দিতে শুরু করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা।

সেখানে মানববন্ধন তৈরি করে অবস্থান করতে শুরু করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও কর্মীরা। ফলে নতুন করে আশান্তি আশঙ্কা তৈরি হয় যাদবপুরে। কিন্তু আরএসএস-র ছাত্র সংগঠন এবিভিপি-এর মিছিল পুলিশের তরফে আটকে দেওয়া হয় ঢাকুরিয়ার কাছে। মিছিল আটকাতে কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে যোধপুর পার্কের কাছে স্টিলের গার্ডওয়াল তৈরি করা হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে আশান্তি এড়াতে জলকামান প্রস্তুত রাখা হয়। তবে এদিন প্রথম থেকেই পুলিশ মিছিল আটকাতে ধৈর্য্যের পরিচয় দিয়েছে। পুলিশের তরফ থেকে বার বার মাইকিং করে গার্ড ওয়াল থেকে এবিভিপি সমর্থকদের ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হ। শুধুমাত্র ১০ জন ছাত্র-ছাত্রীকেই উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করার সম্মতি দেওয়া হবে বলে জানানো হয় পুলিশের তরফে। কিন্তু এবিভিপি-র সমর্থকরাও তাদের অবস্থানে অনড় থাকেন।

তারা মিছিল করেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য স্টিলের গার্ডওয়ালের দিকে ঝাঁপিয়ে পড়েন। বাঁশ, লাঠি দিয়ে গার্ডওয়ালের উপর ভাঙচুর চালানোর চেষ্টা করা হয়। যদিও পুলিশের তৈরি গার্ডওয়াল ভাঙতে না পেরে ওখানেই অবস্থান বৈঠকে বসে যায় এবিভিপি সমর্থকরা। ক্রমশ চড়তে থাকে উত্তেজনার পারদ। এদিকে কাঁদানো গ্যাস, র‌্যাফ, জলকামানের ব্যবস্থা থাকলেও তা ব্যবহার করেননি পুলিশ প্রশাসন। অন্যদিকে কোনও অবস্থাতেই রণে ভঙ্গ দিতে নারাজ গেরুয়া শিবির। আপাতত গার্ডওয়ালের সামনেই বসে অবস্থান শুরু করেছেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বাবুল সুপ্রিয়র বিরুদ্ধেও ছাত্র-ছাত্রীদের নিগ্রহ ও ক্যাম্পাসে অশান্তির অভিযোগ করা হয়েছে এসএফআই-এর ছাত্র সংগঠনের পক্ষ থেকে।