ওয়েব ডেস্ক : শেষ দিকে এসে নিখোঁজ হল বিক্রম। চাঁদে নামার ঠিক আগেই বিচ্ছিন্ন হল ইসরোর সঙ্গে ল্যান্ডার বিক্রমের যোগাযোগ।বিক্রম কি চাঁদে সঠিকভাবে অবতরন করেছে না আছড়ে পড়েছে সে বিষয়ে কোন সদূত্তর এখনও পর্যন্ত পাওয়া সম্ভব হয়নি।তবে চন্দ্রায়ন ২ এর অবতরন নিয়ে রাত থেকেই শুরু হয়েছিল কাউন্টডাউন।শুধু বেঙ্গলুরুতে ইসরোর সদর দফতর নয় অধীর আগ্রহে বসে ছিল সারা দেশ।নাসা সহ বিশ্বের বড় বড় মাহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রগুলির চোখ ছিল ভারতের চন্দ্রায়নের ২ এর ওপর।চাঁদে নামার আগে পর্যন্ত সঠিক গতিতেই ছিল ল্যান্ডার বিক্রম।
তবে চন্দ্র পৃষ্ট থেকে অন্তত ২.১ কিমি ওপর থেকেই বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ইসরোর সঙ্গে যোগাযোগ।এর পর নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত কোন সিগন্যাল না আসায় সকলের মুখে ঘনাল আশাঙ্কার ছায়া।ঠিক কিছুক্ষণ পরই ইসরোর প্রধান অডিটোরিয়ামে উপস্থিত প্রধানমন্ত্রীর কাছে যান এবং জানিয়ে দেন সিগন্যাল না পাওয়ার কথা।এরপরই নিজের ভাষণ দিতে উঠে যান মোদি।বক্তৃতা দিতে উঠে তিনি জানান,“ গোটা দেশ আপনাদের জন্য গর্বিত, জীবনে নানাধরনের ওঠাপড়া থাকে।ভেঙে পড়ার কিছু হয়নি। যতটুকু প্রাপ্তি হয়েছে সেটাও খুব কম কিছু নয়।আমি আপনাদের সকলকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। আপনারা দেশের জন্য অনেক বড় কাজ করেছেন। বিজ্ঞানের এবং সভ্যতার জন্য অনেক দিয়েছেন। আশা করা যাক ভাল কোনও খবরই আসবে। আমি সবসময়ই আপনাদের সঙ্গে আছি। আরও সাহসের সঙ্গে এগিয়ে চলুন।’’
পরে টুইটারে টুইটও করেন তিনি।এদিন বেঙ্গলুরুতে অডিটোরিয়ামে উপস্থিত ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে কথাবার্তাও সারেন প্রধানমন্ত্রী।চন্দ্রায়ন ২ এর এই প্রজেক্টের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বেশ কিছু বাঙালীর নাম।যার মধ্যে অন্যতম হুগলির চন্দ্রকান্ত কুমার।চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে ল্যান্ডার বিক্রমকে নামার জন্য বাছা হয়েছিল।কিন্তু শেষ মূহূর্তে যান্ত্রিক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় উৎকন্ঠায় ইসরো সহ দেশবাসী।