Date : 2024-04-24

এই প্রথম নারদ কাণ্ডে সিবিআই-এর জালে রাজ্যের পুলিশ আধিকারিক এসএমএইচ মির্জা….

কলকাতা: নারদাকাণ্ডে এই প্রথম গ্রেফতার হলেন বর্ধমানের প্রাক্তন পুলিশ সুপার এসএমএইচ মির্জা। কিছুদিন আগেই তাঁকে ভয়েস স্যাম্পেল টেস্ট করার জন্য ডেকে পাঠায় সিবিআই। এরপরেই তাঁকে আজ গ্রেফতার করা হয়। সিবিআই সূত্রের খবর, নারদা কাণ্ডে শিঘ্রই চার্জশিট পেশ করা হবে আদালতে। এদিন বেলা ১২টা নাগাদ এসএমএইচ মির্জাকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসা হয় সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআই দফতরে। ডাক্তারদের রুটিন চেকাপের পর সিবিআই তাঁকে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে পেশ করে। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে নারদা নিউজের পক্ষ থেকে রাজ্যের শাসক দলের কিছু নেতা মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে স্টিং অপারেশন চালায় ওই সংবাদ সংস্থার কর্ণধার ম্যাথু স্যামুয়েল। রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ছাড়াও আইপিএস অফিসার এসএমএইচ মির্জার বিরুদ্ধে স্টিং অপরেশন চালায় ম্যাথু। এরপর বিজেপির পক্ষ থেকে একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয় এবং যেখানে দেখা যায় নিজের বাড়িতে বসে টাকা নিচ্ছেন বর্ধমান প্রাক্তন পুলিশ সুপার আইপিএস এসএমএইচ মির্জা। তদন্তের পর তাঁর কন্ঠস্বর পরীক্ষা করে সিবিআই। জিজ্ঞাসাবাদের পর বয়ানে অসংগতি মেলায় বৃহস্পতিবার দুপুরে সিবিআই তাঁকে গ্রেফতার করে। নারদকর্তা ম্যাথু স্যামুয়েলের থেকে গোছা গোছা টাকার নোট নিতে দেখা যায় ভিডিওয়। শুধু এসএমএইচ মির্জাই নন, নারদাকাণ্ডে তৃণমূলের বহু মন্ত্রী ও সাংসদের ভয়েস রেকর্ডিং ইতিমধ্যে নমুনা হিসাবে নিয়েছে সিবিআই। সুব্রত মুখোপাধ্যায়, শোভন চট্টোপাধ্যায়, কাকলি ঘোষ দস্তিদার সহ তৃণমূলের বহু নেতা মন্ত্রী তাঁদের ভয়েস স্যাম্পেল দিয়ে এসেছেন সিবিআই-এর কাছে। কলকাতা হাইকোর্টে নারদ কাণ্ড নিয়ে ইতিমধ্যে মামলা চলছে। নারদা কাণ্ডে অভিযোগ ওঠা তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দার ও কাউন্সিলর ইকবাল আহমেদ এই মামলা দায়ের করেন। আদালতের নির্দেশের ভিত্তিতে নারদকাণ্ডে ১৩ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে সিবিআই। মির্জার আইনজীবী জানিয়েছেন, নারদা কাণ্ডে বরাবরই সিবিআইকে সাহায্য করেছেন। এরপর সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, ৫ দিন সিবিআই মির্জাকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে চায়।