Date : 2024-04-26

কাউন্সিলরের উদ্যোগে কালনার যৌনপল্লিতে প্রথম শারদ আনন্দ….

পূর্ব বর্ধমান: পুজোর অনেক কাছে থাকেন ওঁরা। অথচ আচার অনুষ্ঠান থেকে যেন অনেক দূরে। শাস্ত্র মতে পতিতালয়ের মৃত্তিকার প্রলেপ মূর্তিতে না বাঙালির দুর্গোৎসবের সূচনা হয় না। কিন্তু সেই নিষিদ্ধপল্লির নামেই বাঁকা দৃষ্টি দেয় সমাজ। উৎসব-পার্বনে এখনও ব্রত্য থাকতে হয় তাদের সন্তানদের। যদিও ২০১৪সালের পর থেকে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সোনাগাছির যৌনকর্মীরা দুর্গাপুজো করার অধিকার পান।

কিন্তু শহরতলি বা গ্রামের ক্ষেত্রে এখনও আড়ালেই থেকে গেছে তাঁদের অধিকার। ভরা ষষ্ঠীর সন্ধ্যায় এখনও অন্ধকারে থাকে সরু গলিগুলি। সাধারণ দিনের মতোই পুজোর দিনগুলিও কাটে। কোথাও কোথাও হয়তো আনাগোনা থাকে লোকজনের।

আর দশটা দিনের মতোই হয়তো বন্দি দশায় রুজির টানে অপেক্ষা করতে হয় কাজের। সমাজের কাছে আপাদমস্তক সেই “পতিতা” পাশে এবার এসে দাঁড়ালেন কালনা পুরসভার কাউন্সিলর সুনীল চৌধুরী। কালনার কদমতলার মহিষমর্দিনী ঘাট সংলগ্ন অঞ্চলে নিষিদ্ধপল্লিতে প্রথম বারের জন্য ৪০০ যৌনকর্মী সামিল হবেন দুর্গাপুজোয়।

পুজোর চারটে দিন তারাও যেন সুখ-শান্তি আর আনন্দ অনুভব করতে পারেন তারই আয়োজন করা হয়েছে। পুজো উপলক্ষ্যে চারদিন চলবে খাওয়া দাওয়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। প্রসঙ্গত, ওই অঞ্চলে অনেক পুজো হলেও যৌনকর্মীরা স্বাভাবিক ভাবে অংশগ্রহণ করতে পারতেন না। কাউন্সিলরের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকার মানুষ। গাঢ় অন্ধকারে প্রদীপের আলোর মতোই যৌনকর্মীদের জীবনে আসুক আনন্দ, স্থানীয় মানুষের এমনটাই মত।