Date : 2024-05-02

“কোন ক্ষতি করব না আপনার ছেলের” অসুস্থ মায়ের করুণ আর্তিতে আশ্বাস বাবুলের….

বর্ধমান: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় ইতিমধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বাংলার রাজনীতিতে। সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ্যে এসেছে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরোধী রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনের কিছু ছাত্র-ছাত্রী প্রকাশ্যে কিভাবে হেনস্থা করেছে। প্রকাশ্যে এসেছে হেনস্থাকারী বেশ কয়েকজন ছাত্রের ছবি। ঘটনার দিন বাবুলের চুল ধরে টানার ছবি সামনে আসতেই চিহ্নিত করা গেছে দেবাঞ্জন চট্টোপাধ্যায় নামে এক ছাত্রকে। মুহুর্তের মধ্যে সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হতে শুরু করে দেবাঞ্জনের ছবি। মন্ত্রীকে মারধরের ঘটনার ছবি প্রকাশ্যে আসতেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে দেবাঞ্জনের বর্ধমানের বাড়িতে। তার মা ছবিটি দেখে বুঝতে পারেন এরপর ঘোর বিপদ নেমে আসতে পারে তাঁর ছেলের জীবনে। দেবাঞ্জনের মা রূপালী দেবী ক্যান্সারে আক্রান্ত।

রাজনৈতিক ঝামেলায় ফেঁসে তার ছেলের জীবনে নেমে আসতে পারে ঘোর বিপদ এই ভয়ে খাওয়া নাওয়া ত্যাগ করেন রূপালী দেবী। পরিস্থিতি বুঝে হাতে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যাবহার করে ছেলের হয়ে মন্ত্রীর কাছে ক্ষমা চেয়ে একটি ভিডিও পোস্ট করেন রূপালী দেবী। ভিডিও-তে হাত জোর করে রূপালী দেবী ক্ষমা চান মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র কাছে বলেন, “ওকে ক্ষমা করে দিন।” নিজের অসুস্থতার কথা জানিয়ে মন্ত্রীর কাছে ছেলের হয়ে ক্ষমা চান রূপালী দেবী। অসুস্থ মায়ের করুণ আর্তি পৌঁছে যায় বাবুল সুপ্রিয়র কান পর্যন্ত। পাল্টা টুইট করেন বাবুল সুপ্রিয়। মন্ত্রী জানান, “আপনি চিন্তা করবেন না মাসিমা। আমি কোনও ক্ষতি করব না আপনার ছেলের। ওর ভুল থেকে ও শিক্ষা নিক, এটাই চাই।”

একই সঙ্গে আসানসোলের সাংসদ লিখেছেন, “আমি নিজে তো এফআইআর করিইনি। কাউকে করতেও দিইনি। আপনি দুশ্চিন্তা করবেন না মাসিমা। তাড়াতাড়ি সেরে উঠুন।”দেবাঞ্জনের বাবা চন্দন বল্লভ বর্ধমানের একটি স্কুলের বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষক। তিনিও ভাবতে পারেননি, সংবাদমাধ্যমে ছেলের এমন মারমুখী ছবি দেখতে হবে। তবু উৎকণ্ঠায় থাকা পরিবার আর ক্যানসার আক্রান্ত মা-কে আশ্বাস দিয়ে বাবুল অন্য বার্তা দিতে চাইলেন বলেই মনে করছেন অনেকে। যদিও পুরো ঘটনার পর UDSF সদস্য দেবাঞ্জন অন্য কথা জানিয়েছেন, তিনি বলেন, এদিন এনআরসি প্রসঙ্গে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল বাম ছাত্র সংগঠনের কিছু ছাত্র-ছাত্রী। কিন্তু মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় হঠাৎ-ই ছাত্রদের উদ্দেশ্যে উষ্কানিমূলক মন্তব্য করেন। যদিও মন্ত্রীকে মারধরের ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই দেবাঞ্জন সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের আচরনের জন্য ক্ষমা চায়।