Date : 2024-04-20

দামের ‘ঝাঁঝে’ চোখে জল পেঁয়াজ ক্রেতাদের….

ওয়েব ডেস্ক: বৃষ্টি ভেজা বিকেলে ধোঁয়া ওঠা চায়ের কাপের পাশে গরম গরম পেঁয়াজি ছাড়া কি চলে? রোল, চাউমিন মতো খুচরো স্নাক্সের স্বাদ থেকেও বাদ দেওয়া যায় না পেঁয়াজকে। কিন্তু সেই পেঁয়াজেই হাত ছোঁয়ানো যাচ্ছে না। বহু বাড়িতেই রবিবারের পাতে মাছের কালিয়া অথবা কষা মাংসের রেসিপি বদলে ফেলতে হচ্ছে স্রেফ পেঁয়াজের অভাবে। গত সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম ছিল কেজি প্রতি ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। এই সপ্তাহে তা এক লাফে চড়ে গেছে ৮০ টাকায়। সাত সকালে বাজারে গিয়ে নাভিশ্বাস উঠছে পেঁয়াজ কিনতে। গৃহকর্তা থেকে ব্যবসায়ী সকলেরই মাথায় হাত, এভাবে প্রতি সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম বাড়লে কি করে চলবে।

কবে কমবে পেঁয়াজের দাম প্রশ্ন করলে বিদ্রুপের হাসি হাসছেন বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতারা। শহর থেকে শহরতলি বা গ্রাম, সব জায়গার কাঁচা বাজারের ছবিটা একই রকম। কোলে মার্কেট বা পোস্তা বাজারের আরতদার বক্তব্য নাসিক ও দক্ষিণ ভারত থেকে যে পরিমাণ পেঁয়াজ আসত, হঠাৎ-ই তাতে ভাটা পড়েছে। আগে এই রাজ্যে মোট ৬০ টি পেঁয়াজের ট্রাক ঢুকতো। এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে ৪৫ টি তে। তার মধ্যে কলকাতায় ঢুকছে মাত্র ১৫ টি ট্রাক। তবে আরতদারদের অধিকাংশের বক্তব্য, চাহিদার থেকে যোগান কম থাকলেও পাইকারী দরে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম এখনও ৪৫ টাকা। তবে খুচরো বাজারে অতিরিক্ত বেশি দরেই বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। সামনেই মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচন, এই সময় এমনিতেই কাঁচা বাজারের ব্যাবসায়ীরা অধিকাংশ জিনিসের দাম বাড়িয়ে দেন।

রাজ্যের সিংহভাগ পেঁয়াজ আসে নাসিক থেকে। এই মুহুর্তে তবে ভোটের জন্যই হয়তো ব্যাবসায়ীরা পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন এমনটাই মনে করছে রাজ্যের আরতদারেরা। শুধু তাই নয়, এরসঙ্গে রাজ্যের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের বাজারের উপর নজর রাখা উচিত। সামনেই পুজো, তাই ফার্স্ট ফুড ও মাছ-মাংসের চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়বে পেঁয়াজের চাহিদা। বিশেষ করে রাস্তার ফুড স্টলগুলিতে পেঁয়াদের জন্য হাহাকার। রেল চাউমিনের সব্জি তালিকা থেকে বাদ পড়েছে পেঁয়াজ। তাই দেখে উৎসবের মরসুমে বাঙালির চোখে জল!