Date : 2024-04-19

ভর দুপুরে রাত নেমে এলো! ভৌতিক সিনেমার মতো “লাল” হল আকাশ…

ওয়েব ডেস্ক: দু দিন আগে বিকেল বেলায় ইন্দোনেশিয়ার আকাশ দেখে চমকে উঠেছেন অনেকেই। যে কেউ ইন্দোনেশিয়ার বসে অনুভব করেতে পারতেন এ পৃথিবী নয় বরং লাল গ্রহ মঙ্গলের কোন প্রান্তে পৌঁছে গেছেন। হঠাৎ-ই রবিবার বিকেলে ইন্দোনেশিয়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চল রক্তবর্ণ হয়ে ওঠে। ইন্দোনেশিয়ার জাম্বি প্রদেশের বনাঞ্চলের আগুন ও ধোঁয়া থেকে এক ধরনের ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়। এর ফলে গোটা প্রদেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চল রক্তবর্ণ হয়ে ওঠে। আকাশে তখনও সূর্য ছিল, বনাগ্নির ধোঁয়ায় রক্তাভ মেঘে ঢেকে যায়। বেলা ১২ টা বাজতেই রাতের আবহ নেমে আসে চারদিকে।

মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর এমনকি প্রতিবেশী সুমাত্রা দ্বীপও দবানলের ফলে সৃষ্ট ধোঁয়ায় ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যা প্রমাণ করেছে উৎসস্থলের কাছাকাছি বাতাস তীব্র দূষিত হয়েছে এই দাবানলের ফলে। সোমবার সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ছবি ভাইরাল হতেই ক্রমশ ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। কি কারণে আকাশের রঙ এতো লাল হল তাই নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় সিঙ্গাপুর ইউনিভাসিটি অব সোশ্যাল সায়েন্সের অধ্যাপক তি ইয়ং সংবাদমাধ্যমে বলেন, জঙ্গলে আগুন লাগার সময় বাতাসে কিছু ধূলিকণা, ছাইয়ের উপস্থিতিতেই আকাশের রঙ লাল হয়েছে। একে বলে রেইল স্কাটারিং।

২১ সেপ্টেম্বর উপগ্রহ চিত্রের মাধ্যমে ওই অঞ্চলে তীব্র উত্তাপ ও ঘন কুয়াশায় ছবি মিলেছে। ইন্দোনেশিয়ার বনাগ্নিপ্রবন অঞ্চলে ইতিমধ্যে ৫৬ হাজার বনকর্মী ও আধিকারীক নিয়োগ করা হয়েছে। কৃষিকাজের জন্য বাড়তি জমির সন্ধানে বনাঞ্চলে আগুন লাগিয়ে দেয় বেশ কয়েকজন। শুধু তাই নয় কৃত্রিম মেঘ সৃষ্টির জন্য ক্যালশিয়াম ক্লোরাইড, ক্যালশিয়াম কার্বাইড, ইউরিয়া, লবন মিশ্রিত রাসায়নিক, ইউরিয়ার সঙ্গে অ্যামনিয়াম নাইট্রেট মিশিয়ে রায়ায়নিক ব্যবহার করেছেন। ঘটনার জন্য বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে ইন্দোনেশিয়ার পুলিশ। অনেক সময় সূর্য দিগন্ত রেখায় অবস্থান করলে এমন লাল রঙের আভা ছেয়ে ফেলে গোটা আকাশকে। কারণ লাল রঙের তরঙ্গ দৈর্ঘ্য অনেক বেশি। তবে ইন্দোনেশিয়ায় বনাগ্নির কারণে এমন ভয়ঙ্কর লাল আকাশের কারণ শুধুই কি আলোর মধ্যে অবস্থিত লাল রঙের তরঙ্গদৈর্ঘ্য নাকি অন্য কিছু, সোশ্য়াল মিডিয়ায় ছবিটি প্রকাশিত হওয়ার পর ভাবিয়ে তুলেছে সবাইকে।