ওয়েব ডেস্ক: মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভয়ানক হত্যালীলার সাক্ষী রইল দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগাম। ইউরোপীয় প্রতিনিধিদের সফরকালীন কাশ্মীরে কর্মরত ৬ জন বাঙালি শ্রমিককে নির্বিচারে গুলি করে খুন করল পাকিস্তানি জঙ্গিরা। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার রাত ৮টা নাগাদ। জঙ্গিদের চালানো গুলিতে প্রথমে পাঁচ জন শ্রমিক নিহত হয়। মৃতরা সকলেই মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘির বাসিন্দা। গুরুতর আহত অবস্থায় জাহিরুদ্দিন নামে একজন শ্রমিককে অনন্তনাগের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে আজ সকালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন আহত শ্রমিক জহিরুদ্দিন সরকার। নিহত পাঁচ শ্রমিকের নাম কামারুদ্দিন শেখ, মুর্সালিম শেখ, মহম্মদ রফিক, নিজামুদ্দিন শেখ, মহম্মদ রফিকুল শেখ। প্রসঙ্গত, ৩৭০ ধারা বাতিলের পর কাশ্মীরের পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ রয়েছে বলে দাবি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
এদিকে কাশ্মীরে বিশেষধিকারের অনুচ্ছেদটি বাতিলের পর থেকেই ক্ষোভে ফুঁসছে প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান। কাশ্মীরের পরিস্থিতিকে অশান্ত করতেই প্রায় ৬০০ বার যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করেছে পাকিস্তান। কুলগামে ৬ বাঙালি শ্রমিককে হত্যা করে সেই ঘটনারই বদলা নিল পাকিস্তানি জঙ্গিরা এমনটাই মত ভারতীয় সেনার। ইতিমধ্যে কুলগামের ওই অঞ্চলটি ঘিরে ফেলেছে নিরাপত্তা রক্ষীরা। জঙ্গিরা কিভাবে এই হত্যালীলা চালাল তার তদন্ত শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে সশস্ত্র জঙ্গিরা হানা দেয় কুলগামের কাতরাসু গ্রামে। সেখানেই ওই ৬ জন বাঙালি শ্রমিক একটি বাড়িতে ভাড়া থাকত।
সূত্রের খবর,স্থানীয় অঞ্চলে কাজ কর্ম করতেন ওই শ্রমিকরা। ভাড়া বাড়িতে ঢুকে হঠাৎ-ই ওই শ্রমিকদের বের করে নিয়ে আসে জঙ্গিরা। এরপর ২০০ মিটার দূর থেকে নির্বিচারে ওই শ্রমিকদের উপর গুলি চালায় জঙ্গিরা। ঘটনাস্থলেই ৫ জনের মৃত্যু হয়। উল্লেখ্য, এই দিনই কাশ্মীরের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সফর করে ইউরোপীয় প্রতিনিধি দল। এইদিনটিকেই হামলা করার জন্য বেছে নিয়েছিল জঙ্গিরা। কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা বিলোপের বদলা নিতে এখন জঙ্গিদের নিশানায় রয়েছে সাধারণ মানুষ। এই হত্যার ঘটনার খবর পৌঁছতেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। ক্শ্মীরে জঙ্গি হামলায় মৃতদের পরিবার পিছু ৫ লক্ষ টাকা করে সাহায্য ঘোষণা করেছেন তিনি।