ওয়েব ডেস্ক: মুসলিম ঘরে জন্ম, তাই কখনও দুর্গাপুজো সিঁদুর খেলার স্বাদ পাননি। তবে এবার আর না, তুড়ি মেরে ওড়ালেন মৌলবাদীদের ফতোয়া। চালতাবাগান সার্বজনীন পুজো মণ্ডপে স্বামী নিখিল জৈনকে সঙ্গে নিয়ে সিঁদুর খেলায় মেতে উঠলেন নুসরত জাহান। সমস্ত রক্ষণশীলতার বিরুদ্ধে গিয়ে বললেন, আমি মানবতায় বিশ্বাস করি। সমস্ত উৎসব মেতে উঠতে ভালো লাগে তাই আসি। কোন বিতর্কেই আমার কিছু যায় আসে না।” উল্লেখ্য, অষ্টমীর দিন নিজের স্বামীকে সঙ্গে সুরুচি সংঘের মণ্ডপে মায়ের পায়ে অঞ্জলী দেওয়ার পরেই উত্তর প্রদেশের এক মৌলানা তাঁর বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি করে, যে নুসরত ইসলামের অবমাননা করেছেন।
কিন্তু এসব কিছুকে তোয়াক্কা না করেই তিনি ত্রয়োদশীতে সিঁদুর খেলতে পৌঁছে গেলেন উত্তর কলকাতার পুজো মণ্ডপে। সেখানেই হিন্দু সধবা মেয়েদের মতো লাল পাড় শাড়িতে দেখা গেল তাঁকে।
লোকসভা ভোটের পর সাংসদ হিসাবে শপথ নেওয়ার তুরষ্কের বোদরুমে নিখিল জৈনর সঙ্গে বিয়ে করেন অভিনেত্রী নুসরত জাহান।
এরপরেই সাংসদে হিন্দু স্ত্রীর মতো মেহেন্দী, শাড়ি পড়ে প্রবেশ করেন। সেই নিয়ে মুসলিম মৌলবাদীদের মধ্যে তীব্র বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। এরপর ট্রাডিশনাল বাঙালি সাজে সুরুচির মণ্ডপে হাজির হন নুসরত। নিখিলের পরনে ছিল মেরুন পাঞ্জাবি।
এ দিনও দেখা গেল সিঁদুর খেলার সাবেকি পোশাকে নুসরত। সাদা জমির উপর সোনালি জরির কাজ করা শাড়ি। মেরুন এবং সোনালি কম্বিনেশনের ব্লাউজ। এবং গা ভর্তি গয়না। আর নিখিলের পরনেও ছিল সাদা পায়জামা-পাঞ্জাবি। আর পুজো শেষে তাঁকে ভিন্ন সাজে দেখা গেল চালতাবাগান সার্বজনীন দুর্গাপুজো মণ্ডপে।