ওয়েব ডেস্ক: আগামী ১৭ নভেম্বর প্রকাশিত হতে চলেছে বহু বিতর্কিত অযোধ্যা মামলার রায়। তার আগেই সব রাজ্যকে নির্দেশিকা পাঠিয়ে সতর্ক করল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। বিশেষত উত্তর প্রদেশ সরকারকে ধর্মস্থান ও ধর্মশালাগুলিতে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। অযোধ্যার অধিবাসী নয় এমন বাসিন্দাদের শহর ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফাঁকা রাখা হবে ধর্মীয়স্থান গুলি। মামলার রায় প্রকাশিত হওয়ার আগে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হবে। শহরের বিভিন্ন জায়গায় মোতায়েন থাকবে অন্তত ৩০টি বম্ব স্কোয়ার্ড। মোতায়েন করা হবে কয়েক হাজার সেনাকর্মী। অপ্রীতিকর পরিস্থিতির কথা ভেবে কিছু অস্থায়ী জেল তৈরি করা হয়েছে। ইতিমধ্যে অযোধ্যা জুড়ে চলছে ১৪৪ ধারা। প্রতিটি রাজ্য প্রসাশনের তরফ থেকে অযোধ্যা মামলার রায়ের প্রতিক্রিয়া নিয়ে শান্ত থাকতে বলা হয়েছে।
দেখে নেওয়া যাক বাবরি মসজিদ মামলার আদালত নামা একনজরে….
১৮৮৫-১৮৮৬
বাবরি মসজিদ সংলগ্ন এলাকার রাম চবুতরা চত্বরে মন্দির করতে চেয়ে মামলা করেন মহান্ত রঘুবর দাস। ফৈজাবাদের সাব জজ ও জেলা জজ মামলা খরিজ করে দেন।
১৯৪৯
২২-২৩ ডিসেম্বর ভগবান রামের মূর্তি বাবরি মসজিদের মধ্যম চূড়ার নিচে দেখা যায়।
১৯৫০
ফৈজাবাদ জেলা আদালতে দুটি মামলা দায়ের হয়। ভগবান রামের মূর্তি যাতে না সরানো হয় তার জন্য মামলা করেন গোপাল বিশারদ।
১৯৫৯
বাবরি মসজিদ সংলগ্ন এলাকার মালিকানা নিয়ে মামলা। বাবুপ্রিয় রাম দত্তর বিরুদ্ধে মামলা করে নির্মোহী আখড়া।
১৯৬১
অযোধ্যার ৯ জন মুসলিম নাগরিক ও উত্তরপ্রদেশ সুন্নি সেন্ট্রাল ওযাকফ বোর্ড মামলা করে। গোপাল বিশারদ, নির্মোহী আখড়া মহান্ত ও আরও ২২ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়।
১৯৮৬
ফৈজাবাদের জেলা জজ নির্দেশ দেন গার্ড রেল, তালা ও ইটের দেোয়াল সরিয়ে ফেলতে হবে। যাতে হিন্দুরা পুজো করতে পারে।
১৯৮৯
এলাহাবাদ হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি দেওকি নন্দন আগরওয়াল এলাহাবাদ হাইকোর্টে মামলা করেন। অযোধ্যা রামের জন্মভূমি। এই স্থানেই ভগবান শ্রী রামলালা বিরাজমান। এখানেই মন্দির হোক এই মর্মে মামলা করেন।
২০১০
এই মামলায় ২০১০ সালে রায় দেয় এলাহাবাদ হাইকোর্ট। বিতর্কিত ২.৭৭ একর জমি তিনভাগে ভাগ করার নির্দেশ দেয় আদালত। এই তিন পক্ষ হল রামলালা বিরাজমান, নির্মোহী আখড়া ও সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড।
২০১১
এলাহাবাদ হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয় সুপ্রিম কোর্টে। রায়ের উপর স্থগিতাদেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট।