Date : 2024-04-16

শীত পড়লেই টো টো মন? টয় ট্রেনে চেপে চলুন ঘুরে নি লেকপার্কে…

নদীয়া:- দূর্গাপুজো, দীপাবলি একে একে সব উৎসবই মিটেছে। শুভেচ্ছা বিনিময়, মিষ্টি মুখ সেরে সেই একঘেয়ে কর্মব্যস্তদিনের রুটিনে প্রবেশ করতে হয়েছে। উৎসব প্রিয় বাঙালির এখন মনখারাপ। ক্যালেন্ডারে কার্তিক মাস, উৎসবহীন, রুক্ষ হেমন্তের সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আমরা। শীত পড়লেই কিন্তু বড়দিন। ফের উৎসবের হাতছানি। নরম রোদ্দুর মেখে পিকনিক আর ভরপুর খাওয়া দাওয়া করতে হলে এখন থেকেই তৈরি করে ফেলুন প্ল্যান। বোটানিক্যাল গার্ডেন বা ময়দান নয়, পিকনিক আর ঘোরাঘুরির দেদার আনন্দ নিতে হলে অবশ্যই আসতে হবে নদীয়ার কল্যাণী লেক পার্কে। শহর থেকে একটু দূরে, সমান্তরাল রেল পথে চলুন ঘুরে আসি, মন কেমন কাটিয়ে আসি এই শীতেই। এবার জেনে নিন কি কি আছে কল্যাণী লেক পার্কে। কল্যাণী পুরসভার একটি অভূতপূর্ব ব্যবস্থাপনা এই পার্কটি। সুবিশাল জলাধার ঘেরা এই পার্কটিতে আছে আট থেকে আশির সুন্দর সময় কাটানোর সবরকম সরঞ্জাম। জলাশয়ে রয়েছে বোটিং করার ব্যবস্থা, রয়েছে টয় ট্রেন, বিভিন্ন রাইডিং এমনকি ছোট বড় সবার জন্যই ইন্ডোর গেমের সুব্যবস্থা রয়েছে এই পার্কে। পার্ক ঘিরে আছে সুন্দর সুন্দর ভাষ্কর্য আর নামিদামি গাছ। পিকনিকের জন্য আলাদা করে শেডের ব্যবস্থা রয়েছে। জল আর রান্নার জন্যও রয়েছে সুবন্দবস্ত। শীত পড়লেই পিকনিকের জন্য তিল ধারণের জায়গা পাওয়া যায় না কল্যাণী লেক পার্কে। তাই এমন সুন্দর জায়গায় পিকনিকের বাসনা থাকলে এখনই বুকিং করে নেওয়াই ভালো।

এখন প্রশ্ন আসবেন কিভাব…

শিয়ালদা স্টেশন থেকে রানাঘাট,কৃষ্ণনগর, শান্তিপুর, গেদে, কল্যাণী সীমান্ত যে কোনো ট্রেন ধরে কল্যাণী স্টেশন এ নামতে হবে। সেখান থেকে টোটো, বাস, অটো সবই পাওয়া যায়। কিন্তু টোটো ধরলে লেকপার্কের গেটের সামনে নামিয়ে দেবে। আর বাস বা অটো করে আসলে নামতে হবে পৌরসভা । সেখান থেকে নেমে হাঁটা পথে ৪ মিনিট লাগবে। তো এবার শীতে আসছেন তো কল্যানীর লেকপার্কে?