ওয়েব ডেস্ক : ভোটদানের মাধ্যমে একদলীয় শাসকের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিল হংকং।হংকংয়ে ৪১ লক্ষ নথিভুক্ত ভোটারের মধ্যে ৭০ শতাংশ রবিবার ডিসট্রিক্ট নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন।নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা ইলেকটোরাল অ্যাফেয়ার্স কমিশন ও কথা জানিয়েছে।১৯৯৯ সাল থেকে সেমি অটোনমাস এলাকা হিসেবে হংকংয়ে ভোট হচ্ছে।কিন্তু এত বিপুল পরিমানে ভোট এর আগে কখনও পড়েনি।চার বছর আগে ভোট পড়েছিল ৪৭ শতাংশ।কিন্তু অগনতান্ত্রিক চিনা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে এবার যেন ব্যালটের মাধ্যমে যাবতীয় ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন সেখানকার বাসিন্দারা।কয়েকদিন ধরে হংকংয়ে চিনা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তুমুল বিক্ষোভ চলছে।বেজিংয়ের প্রতি সহানুভূতিশীল যাবতীয় বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানের দোকানপাঠ ও দফতরে কালো কাপড়ে মুখ ঢাকা প্রতিবাদীরা ভাঙচুর চালিয়েছে।
লাল চিনের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে এমন সড়কপথগুলির টোল বুথে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।এমনকি চিনের সঙ্গে যোগাযোগের একটা বড় টানেলও তারা বন্ধ করে দেয়।বিক্ষোভ দমন করতে বিশাল পুলিশ বাহিনী টিয়ার গ্যাস ও জলকামান নিয়ে নেমেছিল।গ্যাসোলিন বম্ব নিয়ে প্রতিবাদীরা তাদের আক্রমন করে।কয়েকদিনের দাঙ্গা হাঙ্গামার সূত্রে অন্তত ৫ হাজার জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।তার পরেই ডিসট্রিক্ট কাউন্সিলরের এই ভোট।হংকংয়ে ১৮ টি ডিসট্রিক্ট কাউন্সিল মিলিয়ে মোট ৪৫২ টি আসন।আগৈে হংকংয়ে পুরভোটে তেমন গুরুত্ব ছিল না।কিন্তু এবারের ভোট সেক্ষেত্রে একটা ব্যতিক্রম।পর্যবেক্ষেক হিসেবে এই ভোটে উপস্থিত ছিলেন ব্রিটিশ হাউজ অফ লডসের এমপি ডেভিড অ্যালটন।তিনি এত মানুষের ভোটদানে খুশি।প্রসঙ্গত চিনে বসানো মহিলা শাসকের দুর্নীতিতে ক্ষুব্দ্ধ হয়েই হংকংয়ের আইনজীবীরা প্রথম বিক্ষোভ শুরু করেছিলেন।পরে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা তাতে অংশগ্রহন করেন।পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে তারা জড়িয়ে পড়ে।