ওয়েব ডেস্ক: সমস্ত সরকারী এবং বেসরকারকারী দফতরে ব্যবহত বিদেশী যন্ত্রাংশ এবং সফটওয়্যারের ওপর নিষেধাঞ্জা জারি করার কথা ভাবছে চিন। ভবিষ্যতে প্রযুক্তির চাবিকাঠি কাদের হাতে থাকবে? এই প্রশ্নই এখন সবথেকে বড় বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে চিন ও আমেরিকার মধ্যে। দুই দেশের মধ্যে চলা বাণিজ্য যুদ্ধে হুঙ্কার দিতে শোনা গিয়েছে দু দেশকেই। বাণিজ্য ক্ষেত্রে আধিপত্য তো বটেই প্রযুক্তির দিকটাকেও ভালো ভাবে ধরে রাখতে কোন কসুর নেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তরফে। বেশ কিছুদিন আগে জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্ন তুলে চিন থেকে আমদানী করা হার্ডওয্যারের যন্ত্রাংশে নিষেধাঞ্জা জারি করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এরফলে হুওইযের পাশাপাশি জেডটিই নামের একটি সংস্থার সমস্ত যন্ত্রাংশ নেওয়া বন্ধ করে মার্কিন কোম্পানিগুলি। এর পাশাপাশি চীন থেকে আমদানীকৃত দ্রব্যের ক্ষেত্রেও শুল্ক বসানোর কথা রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তরফে, তাতে বেজায় চটেছে চিন।
তারই পাল্টা হিসেবে এবার নিজেদের দেশে সমস্ত সরকারী অফিস সহ বেসরকারী ক্ষেত্রগুলিতেও সমস্ত বিদেশি সফটওয্যার ও হার্ডওয়্যারের ওপর নিষেধাঞ্জা জারির কথা ভাবতে চলেছে চিন। এর জন্য একটি বিশেষ পরিকল্পনার কথা শোনা যাচ্ছে। ৩-৫-২ নামের এই লক্ষ্যমাত্রায় প্রাথমিকভাবে ২০২০ তে ২০ শতাংশ , ২০২১ এ ৫০ শতাংশ এবং ২০২২ এ ২০ শতাংশ হারে পরিবর্তন করা হবে সমস্ত যন্ত্রাংশগুলিকে। গোটা দেশে প্রায় ৩০ কোটি যন্ত্রাংশ রয়েছে যেগুলিকে ধীরে ধীরে পরিবর্তন করার কাজ শুরু করা হবে বলে জানা গেছে। মিশন ২০২৫ নামের একটি প্রজেক্টকে সামনে রেখে আগামী দিনে বিদেশী প্রযুক্তিতে পরনির্ভরশীলতা থেকে নিজদের স্বনির্ভর করার দিকে জোর দিয়েছে চিন। তবে এই তুমুল ব্যবসায়িক যুদ্ধের জেরে ভীষণ ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে ডেল, এইচপি, মাইক্রোসফটের মতন কোম্পানিগুলি।