ওয়েব ডেস্ক:- বাদাম বেচে, ছাত্র পড়িয়ে কোন মতে সংসার চলত তাঁর। এর মধ্যেই একদিন কাগজের পাতায় চোখে পড়েছিল বিজ্ঞাপানটি। সেই বিজ্ঞাপনই বদলে দিল জীবন। শুধুমাত্র মেধা ও ইচ্ছা শক্তির জোড়ে এতদূর যাওয়া যায় সেটা শুধু কাজে করে দেখালেন তামিলনাড়ুর পাত্তুকোট্টাইয়ের বাসিন্দা একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী কে.জয়লক্ষ্মী। বরাবরই বিজ্ঞান বিষয়ে আগ্রহী ছিলেন তিনি। তামিলনাড়ুর সরকারি স্কুলে পড়াশুনো করতেন তিনি। স্কুল, পড়াশুনো মিটিয়ে সংসারের দ্বায়িত্ব ছিল তাঁর কাঁধে। খবরের কাগজের বিজ্ঞাপনে লেখা ছিল নাসায় যাওয়ার জন্য একটি বিশেষ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে।
সেই প্রতিযোগীতায় উত্তীর্ণ হলেই মিলবে নাসা যাওয়ার সুযোগ। বাকিটা অদম্য ইচ্ছা আর কঠোর প্রস্তুতি জয়লক্ষ্মীকে পৌঁছে দিয়েছে সাফল্যের উচ্চতার শীর্ষে। নাসার দ্বার হয়তো খুলে গেছে তাঁর জন্য কিন্তু বিদেশ যাওয়ার এই বিপুল পরিমান অর্থ কোথা থেকে পাবে সে? সেখানেও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে তাঁর স্কুল। অসামান্য মেধা ও প্রচেষ্টায় গর্বিত জয়লক্ষ্মীর স্কুল। কয়েকজন শিক্ষক আর তার সহপাঠীর সহযোগীতায় ও পাসপোর্ট অফিসারের আশীর্বাদে পাসপোর্ট হয়ে গেছে। কিন্তু সেটাও যথেষ্ট নয়। এরপর সাহায্যের জন্য হাত বাড়ায় সে।
ওএনজিসি এর কর্মচারীরা মিলে তার হাতে তুলে দেয় ৬৫,০০০ টাকা। এছাড়া জেলা শাসক সহ আরও বেশ কিছু জনের সহায়তায় ৬০,০০০ টাকার সাহায্য পায় মেয়েটি। তবে, এখনও প্রয়োজন ৭০,০০০ টাকা। সাফল্যের পর সকলকে পাশে পেয়ে আনন্দিত জয়লক্ষ্মী জানিয়েছেন,‘আমি সকলের কাছে কৃতজ্ঞ। যাঁরা আমার স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার জন্য সাহায্য করছে। ২৭ ডিসেম্বরের মধ্যে বাকি টাকা পেয়ে গেলে ছুঁতে পারব নাসার মাটি’।