ওয়েব ডেস্ক:- পকেটে ৩৫ টাকা থাকলেই মেলে ভর পেট খাওয়ার। ৬৫ টাকা খরচ করলেই পেয়ে যাবেন চিকেন বিরিয়ানি। এমনই অবিশ্বাস্য কম দামে খাওয়ার পাবেন সংসদ ভবনের ক্যান্টিনে। তবে চলতি অধিবেশনেই এই সুখের দিন শেষ হল। বাজার দরের থেকে কম খরচে সাংসদদের খাওয়ার পাওয়া নিয়ে অনেকদিন ধরেই চলছিল বিতর্ক। মূল্যবৃদ্ধির বাজারে এবার সংসদের ক্যান্টিন থেকে তুলে দেওয়া হল ভর্তুকি। সংসদের ক্যান্টিনে ভর্তুকি তুলে দেওয়া নিয়ে স্পিকারের কাছে দেওয়া প্রস্তাবে সর্বসম্মতি মিলেছে। অগ্নিমূল্য বাজার দরে যখন দেশের জনগণ নাজেহাল তখন এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় সকলেই সমর্থন জানিয়েছেন। এর ফলে বছরে প্রায় ১৭ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। ভর্তুকি তুলে নেওয়ায় সব খাবার দাম বাড়বে প্রায় দেড় গুণ।
বাজার দরের তুলনায় প্রায় ৮০ শতাংশ কম দামে খাওয়ার পাওয়া যেত। এখন থেকে আর সেই ভর্তুকি মিলবে না। বিধানসভার ক্ষেত্রে কি একই রকম ভর্তুকি দেওয়া হয়? সূত্রের খবর, বিধানসভায় মন্ত্রী বিধায়করা খাওয়া বাবদ সরকারি ভর্তুকি পান। সাংসদদের তুলনায় সেটা অনেকটাই কম। যদিও হিসেব করলে সেটা বাজারদরের থেকে অনেকটাই কম।
ভাত–ডাল–তরকারি এবং মাছের মিল বিধায়ক হোস্টেল ক্যান্টিনে মেলে ৩৮ টাকায়। মাছের বদলে ডিম খেলেও খরচ সেই একই। তবে নিরামিষ মিল খেলে খরচ হয় ৩২ টাকা। পাঁঠার মাংস, ডাল, তরকারি দিয়ে ভাত খেতে হলে একজন বিধায়ককে খরচ করতে হয় ১৫০ টাকা! ভর্তুকির নিরিখে সাংসদের থেকে অনেকটাই পিছিয়ে বিধায়করা। বিধায়কদের দৈনিক ভাতা আগে ১ হাজার টাকা ছিল।
বেতন বৃদ্ধির পর তা হয়েছে ২০০০ টাকা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে রাজ্যের মন্ত্রীদের দৈনিক ভাতা ছিল, ২০০০ থেকে বাড়িয়ে ৩০০০ টাকা করা হয়েছে। এই ভাতা ছাড়াও প্রতি মাসে ২২ হাজার টাকা বেতন পান পূর্ণ মন্ত্রীরা। অর্থাৎ বর্ধিত ভাতা এবং বেতন মিলে রাজ্যের একজন পূর্ণমন্ত্রী প্রতিমাসে ১ লক্ষ ১২ হাজার টাকা পান। কেন্দ্রে মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকার দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় ফিরে ভর্তুকি তুলে দিয়েছে অনেক ক্ষেত্রেই। সম্প্রতি জওহরলাল বিশ্ববিদ্যালয়ে হোস্টেলে ভর্তুকি কমিয়ে দেওয়া হয়। ফি বৃদ্ধির জন্য আন্দোলনেও নামেন পড়ুয়ারা। সংসদ ভবনের ক্যান্টিনে ভর্তুকি তুলে দেওয়ার পর এবার কি বিধানসভার ক্যান্টিনে ভর্তুকি তুলে দেওয়ার পালা? উঠছে প্রশ্ন।