আমেরিকায় ৩৪ হাজার, ইতালিতে ২২ হাজার, স্পেনে ১৯ হাজার, ফ্রান্সে ১৭ হাজার, ইংল্যান্ডে ১৩ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু। জার্মানিতে মারা গিয়েছেন চার হাজারের বেশি মানুষ। সেখানে চিনে মৃত্যুর সংখ্যা ৩৩৪২। করোনা সঙ্কটে জর্জরিত গোটা বিশ্ব প্রশ্ন তুলছিল। কী করে সম্ভব। কোন জাদুবলে সম্ভব। বেজিং বলছিল, ক্ষয়ক্ষতি চিনেরও হয়েছে। বাকি বিশ্ব দেখতে না পেলে কিছু করার নেই।
অবশেষে ভুল স্বীকার করল চিন। মৃতের গণনায় ভুলের কথা স্বীকার করল উহান প্রদেশ প্রশাসন। এক সরকারি বিবৃতিতে জানান হয়েছে, উহানে ২৫৭৯ জন নয়, আসলে মৃত্যু হয়েছে আরও ১২৯০ জনের। অর্থাৎ মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৩৮৬৯। ফলে উহানে মৃত্যুর সংখ্যা একলাফে ৫০ শতাংশ বাড়ল। উহানে মৃত্যু বাড়ায় চিনেও মোট মৃত্যু বেড়েছে। ৩৩৪২ থেকে বেড়ে তা হয়েছে ৪৬৩২। অর্থাৎ মৃত্যুর সংখ্যায় ৩৪ শতাংশ বৃদ্ধি।
চিনের এই ভুল স্বীকার অবশ্য বহু প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে। গণনায় দশ কুড়িটা কমবেশি হতে পারে। তা বলে ১২৯০। চিনের লোকেরা তবে কি ভালো করে যোগ করতেও জানে না। নাকি এতদিন যে কথাটা বলা হচ্ছিল সেটাই সত্যি। চিন আসলে মৃত্যুর সংখ্যা গোপন করেছিল। যা মৃত্যু দেখান হয়েছিল তার থেকে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে চিনে। অন্য একটা অংশ বলছে, এটাও চিনা সরকারের একটা কৌশল। বাকি বিশ্বকে দেখান, মৃত্যুর ছোবল থেকে তারাও মুক্ত হতে পারেনি। সে যাই হোক, ১২৯০ জনের একসঙ্গে মৃত্যু দেখানো কিংবা ভুল স্বীকার, কোনওটাই আন্তর্জাতিক মহলের মুখ বন্ধ রাখতে পারছে না।
নোভেল করোনা পর্বে এটাই কি তবে চিনের ঐতিহাসিক ভুল হয়ে রইল?