শত প্রচারেও যা হয়নি, শত অনুরোধেও যা হয়নি, রোজকার শয়ে-শয়ে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা সেই কাজই সহজ করে দিয়েছে। এখন থেকে প্রতি সপ্তাহে দুদিন সম্পূর্ণ লকডাউনের ঘোষণা দুদিন আগেই করেছিল রাজ্য সরকার। ঘোষণা মোতাবেক বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে ১৬ ঘণ্টার সম্পূর্ণ লকডাউনে কলকাতা-সহ গোটা রাজ্য। এর আগেও টোটাল লকডাউন হয়েছে এই রাজ্যে। তবে মে মাসের সেই লকডাউনের সঙ্গে এবারের মূলগত ফারাক রয়েছে। সেই সময় যে সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হয়েছিলেন ও মারা গিয়েছিলেন, বর্তমানে তা কয়েকগুণ বেড়েছে। বুধবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪৯ হাজার ৩২১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ২২৯১ জন। কোনও একদিনের হিসাবে সর্বাধিক মানুষেরও মৃত্যু হয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায়। মারা গিয়েছেন ৩৯ জন। যার ফলে রাজ্যে মোট মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১২২১। এই যেখানে পরিস্থিতি সেখানে বৃহস্পতিবারের সম্পূর্ণ লকডাউনে রাশ এতটুকুও আলগা দেয়নি পুলিশ-প্রশাসন। কলকাতায় বাস, মিনিবাস, ট্যাক্সি নামেনি। দোকান-বাজার সব বন্ধ। ঝাঁপ বন্ধ সব সরকারি ও বেসরকারি অফিসেরও। শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবাকে ছাড় দেওয়া হয়েছিল। ফলে রাস্তাঘাট ছিল ফাঁকা। পথঘাটে লোক ছিল না। জায়গায় জায়গায় দেখা যায় পুলিশের ব্যারিকেড। যে বা যারা প্রয়োজনে রাস্তায় বের হয়েছেন তাদের পড়তে হয়েছে পুলিশের জেরার মুখে। সন্তোষজনক জবাব মিললে তবেই মিলেছে রেহাই। একই ছবি ধরা পড়েছে উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতেও। দোকান, বাজার, বাস, টোটো, অটো সব বন্ধ। যেখানে সাধারণত লোকজনের বেশি ভিড় লক্ষ্য করা যায় সেই চায়ের দোকানগুলিও এদিন খোলেনি। ফলে চা-প্রেমীরাও নিজেদের ঘরেই বন্দি রাখেন। পথেঘাটে লোকজন খুব কমই লক্ষ্য করা গিয়েছে। করোনা রুখতে এই লকডাউন যে জরুরি মানছেন অধিকাংশই মানুষই। শনিবার (২৫ জুলাই) ও বুধবারও (২৯ জুলাই) রাজ্যে সকাল ৬টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত সম্পূর্ণ লকডাউন ঘোষিত হয়েছে।
Facebook
Instagram
Twitter
Rplus is most proud of how its work impacts the real world and how it is using its powerful reach to campaign for and with the people of Bengal.