২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে বাম-কংগ্রেস শেষপর্যন্ত জোট করেই লড়বে কিনা তা সময়ই বলবে। তবে এমন একটি জোটের বড় সমর্থক ছিলেন সদ্য প্রয়াত প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র। কেন্দ্রে বিজেপি, রাজ্যে তৃণমূল, দুইয়ের বিরুদ্ধেই সাম্প্রতিক সময়ে হাতে হাত লাগিয়ে আন্দোলন করতে দেখা গিয়েছে বাম-কংগ্রেসকে। বাম নেতাদের সঙ্গে পথে নামতে দেখা গিয়েছিল সোমেনবাবুকেও। সেই সোমেনবাবুর মৃত্যুর পরে এখন প্রশ্ন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি কে হবেন। কার নেতৃত্বে ভোটে লড়বে কংগ্রেস। বল তাই এখন অল ইন্ডিয়া কংগ্রেস কমিটি বা এআইসিসির কোর্টে। সেখান থেকে কী বার্তা আসে সে দিকেই তাকিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস। পুরনোদের মধ্যে সবচেয়ে বড় দাবিদার হতে পারেন বহরমপুরের সাংসদ তথা লোকসভায় বিরোধী দলনেতা অধীর চৌধুরী। রয়েছেন বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানও। মান্নান কখনও প্রদেশ সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন না। রয়েছেন প্রদীপ ভট্টাচার্য, দেবপ্রসাদ রায়রাও। নতুনদের মধ্যে শুভঙ্কর সরকার, অমিতাভ চক্রবর্তীরাও চর্চায় রয়েছেন। কিংবা দীপা দাশমুন্সি। সব নাম নিয়েই রাজনৈতিক মহলে চলছে জল্পনা। শেষ পর্যন্ত কে সেনাপতি হন এখন সে দিকেই নজর।
নজর রাখা যাক প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতির তালিকায়। লাবণ্যপ্রভা দত্ত (১৯৪৫), সুরেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় (১৯৪৮), সুরেন্দ্রমোহন ঘোষ (১৯৪৯), অতুল্য ঘোষ (১৯৫০), যাদবেন্দ্রনাথ পাঁজা (১৯৫৮), অতুল্য ঘোষ (১৯৬১), রবীন্দ্রলাল সিংহ (১৯৬২), অজয় মুখোপাধ্যায় (১৯৬৪), রেজাউল করিম (১৯৬৫), প্রতাপ চন্দ্র চন্দ্র (১৯৬৬), বিজয় সিং নাহার (১৯৭০), আবদুস সাত্তার (১৯৭১), অরুণ পাত্র (১৯৭২), পূরবী মুখোপাধ্যায় (১৯৭৭), গনিখান চৌধুরী (১৯৭৮), অজিত পাঁজা (১৯৮০), আনন্দগোপাল মুখোপাধ্যায় (১৯৮১), প্রণব মুখোপাধ্যায় (১৯৮৫), প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি (১৯৮৭), গনিখান চৌধুরী (১৯৮৮), সিদ্ধার্থশঙ্কর রায় (১৯৯১), সোমেন মিত্র (১৯৯২), গনিখান চৌধুরী (১৯৯৮), প্রণব মুখোপাধ্যায় (২০০০), প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি (২০০৮), মানস ভুঁইয়া (২০১০), প্রদীপ ভট্টাচার্য (২০১১), অধীর চৌধুরী (২০১৪), সোমেন মিত্র (২০১৮)।