করোনা আবহের মধ্যেই প্রকাশিত হল রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার ফল। মেধাতালিকায় প্রথম স্থান অধিকার করেছেন দেওঘরের রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাপীঠের ছাত্র সৌরদীপ দাস। উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের বাসিন্দা সৌরদীপ দ্বাদশ শ্রেণিতে সিবিএসই বোর্ডের পড়ুয়া ছিলেন। মেধাতালিকায় দ্বিতীয় হয়েছেন শুভম ঘোষ। পশ্চিম বর্ধমানের এই ছাত্র সিবিএসই- বোর্ডের অন্তর্গত দুর্গাপুরের ডিএভি মডেল স্কুলের ছাত্র। মেধাতালিকায় তৃতীয় কলকাতার ঢাকুরিয়ার সীমন্তি দে। সিবিএসই বোর্ডের অন্তর্গত রুবি পার্কের দিল্লি পাবলিক স্কুলের ছাত্রী সীমন্তি। চতুর্থ সাউথ পয়েন্ট হাইস্কুলের উৎসব বসু, পঞ্চম দুর্গাপুরের ডিএভি মডেল স্কুলের পূর্ণেন্দু সেন, ষষ্ঠ রুবি পার্কের দিল্লি পাবলিক স্কুলের অঙ্কুর ভৌমিক, সপ্তম সল্টলেকের গার্ডেন হাইস্কুলের সোহম সমাদ্দার, অষ্টম বেহালা আর্য বিদ্যামন্দিরের অরিত্র মিত্র, নবম সল্টলেকের সেন্ট জোন্স হাইস্কুলের গিরিক মাসকারা, দশম হাওড়া শিবপুরের অর্ক দত্ত। মেধাতালিকায় প্রথম দশজনের যে তালিকা প্রকাশিত হয়েছে তার অধিকাংশ পরীক্ষার্থী সিবিএসই বোর্ডের।
চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি জয়েন্টের পরীক্ষা হয়েছিল। ফলপ্রকাশ হল এর ১৮৮ দিনের মাথায়। করোনার জন্য ফলপ্রকাশে দেরি হওয়ায় কাউন্সিলিংয়ের কাজ দ্রুত শেষ করতে চায় রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। এ বছর পরীক্ষায় বসেছিলেন বিভি্ন্ন বোর্ডের প্রায় ৭৫ হাজার পরীক্ষার্থী। রাঙ্ক করেছেন এমন পরীক্ষার্থীদের যে তালিকা প্রকাশিত হয়েছে তাতে পশ্চিমবঙ্গ থেকে সফল ৫১২৩৫ জন (৭১ শতাংশ) ও অন্য রাজ্য থেকে ২১০৬৩ জন (২৯ শতাংশ) পরীক্ষার্থী। বোর্ড ভিত্তিক সফল পরীক্ষার্থীদের যে তালিকা মিলেছে তা এরকম। ওয়েস্ট বেঙ্গল বোর্ড অব হায়ার সেকেন্ডারি এডুকেশন থেকে ৩৬৪৮৫ জন (৫১ শতাংশ), সিবিএসই বোর্ড থেকে ২২২৭০ জন (৩১ শতাংশ), আইএসসি থেকে ২২৬ জন (৩ শতাংশ) ও অন্যান্য বোর্ড থেকে ১১৩১৭ জন (১৫ শতাংশ)।
রাজ্যে সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি ও বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং ও ফার্মাসি কলেজে মিলিয়ে ১১৬টি প্রতিষ্ঠানে মোট আসন সংখ্যা ৩৪ হাজারের কিছু বেশি। ১৭ হাজার কমন সার্ভিস সেন্টারের মাধ্যমে অনলাইনে কাউন্সেলিংয়ে অংশ নিতে পারবেন পরীক্ষার্থীরা।