Date : 2024-04-20

ফুটবল দেবতার দেশে ফুটবলের রাজপুত্র মারাদোনা, শোকে কাতর বিশ্ব

বলা হয় পেলে যদি ফুটবলের সম্রাট হন, তিনি ফুটবলের রাজপুত্র। ফুটবলের সেই দুই কিংবদন্তির মধ্যে শ্রেষ্ঠত্বের প্রচ্ছন্ন লড়াই ছিল বরাবরই। কে সেরা তা নিয়ে কখনও কখনও মুখও খুলেছিলেন তাঁরা। মারাদোনার অকাল মৃত্যুতে সেই ফুটবল সম্রাট পেলেও তাঁর টুইট বার্তায় লিখেছেন, একদিন আকাশে একসঙ্গে ফুটবল খেলব আমরা। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারাদোনার মৃত্যু নাড়িয়ে দিয়েছে কোভিড পরিস্থিতির সঙ্গে যুজতে থাকা গোটা বিশ্বকে। লাতিন আমেরিকার মারাদোনার গোটা বিশ্বের পিছিয়ে পড়া মানুষের মুখ হয়ে ওঠা কিংবা ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই। মারাদোনা মানেই লড়াই। আবেগের চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ। তাই বলিভিয়া থেকে বাংলা, ব্রাজিল থেকে বেলজিয়াম, সব মিশে গিয়েছে এক জায়গায়। প্রতিক্রিয়ার প্রশ্নে, অনুরাগের প্রশ্নে সবাই একটা কথাই বলছেন, এভাবে কি চলে যেতে হয়। জীবনে কোনও দিনই আক্ষেপ বা দুঃখকে জায়গা দেননি মারাদোনা। দেশের জার্সিতে ৯১ ম্যাচে ৩৪ গোল রয়েছে তাঁর। তাঁর নেতৃত্বেই ১৯৮৬ সালে বিশ্বকাপ ফুটবল জিতেছিল আর্জেন্তিনা। গোটা বিশ্ব দেখেছিল এক জাদুকরকে। যার জার্সির নম্বর ছিল দশ। বিশ্ব ফুটবলের অমর এক অধ্যায়। যা ভোলা যায় না। প্রত্যেক ফুটবলপ্রেমীর মনের স্মৃতিকোটায় যা চির উজ্জ্বল। ক্লাব ফুটবলেও মারাদোনার শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণিত। খেলেছিলেন বার্সিলোনা, নাপোলি, সেভিয়ার হয়ে। জিতেছিলেন ফিফার প্লেয়ার অব দ্য সেঞ্চুরি খেতাব। ২০০১ সালে ফিফার কাছে ১০ নম্বর জার্সিটিকে চির অবসরে পাঠানোর জন্য অনুমতি চায় আর্জেন্তিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন। ২০০২ সালে ফিফার বিচারে সমর্থকদের ভোটে বিশ্বকাপের সেরা গোল নির্বাচিত হয় ছিয়াশির বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সাত জনকে কাটিয়ে মারাদোনার করা গোল।