বঙ্গের দুয়ারে ভোট। নয়া তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে দিল্লির দুয়ারে আন্দোলনরত কৃষকরা। এক সপ্তাহ পার করা সেই আন্দোলনের বহর ক্রমেই বাড়ছে। বাড়ছে আন্দোলনকারীদের সংখ্যা ও জেদ।কেন্দ্রের সঙ্গে কৃষক প্রতিনিধিদের বৃহস্পতিবারের বৈঠকে সমাধানসূত্র মেলেনি। এই প্রেক্ষিতে দু-পক্ষের পরবর্তী বৈঠক হতে চলেছে শনিবার। সেই বৈঠকের আগে আন্দোলনকারী সাফ কথা, আইনে সংশোধন নয়, বাতিল করতে কৃষক বিরোধী তিনটি আইন। তিন নয়া কেন্দ্রীয় কৃষি আইন কোনও রাজ্যের বিষয় নয়, সারা দেশের জন্যই এই আইন। যদিও বিদ্রোহের আগুন আপাতত দিল্লির পার্শ্ববর্তী হরিয়ানা ও পঞ্জাবেই সীমাবদ্ধ। কালা আইন প্রত্যাহার না হলে দিল্লিকে সবদিক দিয়ে অবরুদ্ধ করারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা। দিল্লির সীমানায় সেই কৃষক বিদ্রোহের আঁচ বাংলার মাটিতে এখনও সেভাবে দেখা যায়নি। কৃষকদের সেভাবে প্রতিবাদে নামতে দেখা যায়নি। তবে বামপন্থী দলগুলির পক্ষ থেকে প্রতিবাদ মিছিল হয়েছে। বঙ্গে বিধানসভার ভোটে শাসক দল তৃণমূলকে প্রতি মুহূর্তে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে বিজেপি। ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে লড়াই চলছে দুই শিবিরের মধ্যে। সেই লড়াইকেই এবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বৃহত্তর লড়াইয়ের নিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দিলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে ফেসবুক পোস্ট করেছিলেন। শুক্রবার তাঁর নির্দেশে দিল্লি-হরিয়ানার সিঙ্গু সীমানায় যান রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও-ব্রায়েন। কথা বলেন কৃষকদের সঙ্গে। দেন পাশে থাকার আশ্বাস। এরই মধ্যে ডেরেকের ফোনে কৃষক নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিও এই লড়াইয়ে কৃষকদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। শুক্রবার তৃণমূলের বৈঠকেও কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষি আইনের প্রতিবাদে লড়াইয়ের বার্তা দেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তাঁর স্পষ্ট বার্তা, কৃষি বিলের সবরকম বিরোধিতা করা হবে। তার জন্য যতদূর যেতে হয় ততদূরই যাবেন তারা।
Facebook
Instagram
Twitter
Rplus is most proud of how its work impacts the real world and how it is using its powerful reach to campaign for and with the people of Bengal.