Date : 2024-04-23

কম খরচে হাতের মুঠোয় কাঞ্চনজঙ্ঘা। পেলিং ভ্রমনের খুঁটিনাটি আপনাদের জন্য।

শীতের সময় মানেই ঘুরতে যাওয়ার জন্য মন আনচান করা। ট্রেনের কু ঝিক ঝিক আওয়াজের জন্য মন কেমন করা। শীতের সময় ক্রিশমাসে বহু বাঙালি রাজ্যের বাইরে ঘুরে যেতে পছন্দ করেন। ৪-৫ দিনের মধ্যে ভিনরাজ্যে ঘুরতে যেতে হলে সবার প্রথমেই মাথায় আসে প্রতিবেশি রাজ্য সিকিম। চলুন সেখানকারই এক জায়গার অনুসন্ধান দেওয়া যাক। কোথায় যাবেন? কীভাবে যাবেন? কত খরচ? কি কি দেখবেন? চলুন জানা যাক। মধ্যবিত্তের এক সেরা ঠিকানা হতেই পারে সিকিমের পেলিং। যেখানে ঘুম থেকে উঠলেই কাঞ্চনজঙ্ঘাকে জড়িয়ে ধরার মতো মনে হবে আপনার। কীভাবে যাবেন?

রাতের উঠে পড়ুন নিউজলপাইগুড়ি গামি ট্রেনে। রয়েছে দার্জিলিং মেল, পদাতিক এক্সপ্রেসের মতো একাধিক ট্রেন। ভাড়া ওই ৩৫০-৪৫০ টাকা। নিউজলপাইগুড়ি নেমে একটু আহার সেরে নিলেন। ব্রেকফাস্টে হাল্কা খাবার খেয়ে উঠে পড়ুন ভাড়া করা গাড়িতে। বোলেরো বা টাটা সুমোয় এনজেপি থেকে পেলিং যেতে লাগবে ৩২০০-৩৫০০ টাকার কাছাকাছি। সিলিগুড়ি এসএনটি বাসস্ট্যান্ড থেকে বাসও ধরতে পারেন। মাথা পিছু ২০০ টাকার আশেপাশেই পেলিং পৌঁছে যাবেন। পেলিংয়ে যাবার পথে তিস্তা বাজার বা জোরথাংয়ে সেরে নিলেন দুপুরের লাঞ্চ। বিকেলে পৌঁছান পেলিংয়ে। রয়েছে একাধিক হোমস্টে এবং হোটেল। তার মধ্যে অন্যতম, হোটেল কাবুর, হোটেল ভাইচুং, হোটেল সিমভো।

থাকা খাওয়া নিয়ে ধরে নিন ১০০০-১২০০ টাকা। পরের দিন সকালেই হাঁটতে হাঁটতে চলে যান হেলিপ্যাডে। স্নিগ্ধ সকালে, স্বপ্নের মতো সুন্দর কাঞ্চনজঙ্ঘাকে পাওয়া, আপনার গোটা দিনের ভালো থাকার রসদ এনে দেবে। এরপর গাড়ি ভাড়া করে নিন। চলে যান লোকাল সাইট সিং। যেমন কাঞ্চনজঙ্ঘা ফলস, খেচিপেরি লেক। আরেকটু দুরে রয়েছে সিংসোর ব্রিজ। নিজের মতো সময় কাটিয়ে ফিরুন বিকেল বেলা। পরের দিন গাড়ি ভাড়া করে চলে যেতে পারেন উত্তরে কিংবা য়ুকসাম। সেখানকার গ্রামবাসীদের সঙ্গে কাটাতে পারেন বেশ কিছুক্ষণ সময়। পরের দিন সকাল সকাল চলে যান পেলিং স্কাইওয়াক ঘুরতে। এরপর হোটেলে ফিরে নিউজলপাইগুড়ির গাড়ি ধরে নিচে নেমে আসুন।

রাতে রয়েছে কলকাতায় আসার বেশ কয়েকটি ট্রেন। রাত ৮টা বা ৯টা নাগাদ যে ট্রেনে সুবিধা অগ্রিম টিকিট কেটে রাখুন এবং পাহাড়ে ফেরার শপথ নিয়ে আপাতত ফিরে আসুন নিজের আস্তানায়।

যদি ৫-৬জন নিজেরা যেতে পারেন তাহলে দিন চারেকের জন্য খরচ হতে পারে মাথাপিছু ৬০০০ টাকার মতো। তবে সব জায়গাতেই ঠিকভাবে দরদাম করে নিতে হবে। আর নেট থেকে হোটেলের নাম্বারে ফোন করে করোনা পরিস্থিতির পর এখন পেলিংয়ের কী অবস্থা? কী কী নথি লাগছে? সব তথ্য জেনে নেবেন। লেখাটা ভালো লাগলে বেশি করে শেয়ার করুন, আরও ভ্রমনপিপাসুদের পেলিং সম্পর্কে জানার সুযোগ করে দিন।