Date : 2024-04-26

রাজ্যপালের অপসারণ চেয়ে রাষ্ট্রপতিকে স্মারকলিপি তৃণমূলের

রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। নৈরাজ্য চলছে পশ্চিমবঙ্গে। রাজনৈতিক পুলিশের ভূমিকা নিয়েছেন আইনের রক্ষকরা। বিভিন্ন সময়ে রাজ্য সরকার ও রাজ্য প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে কখনও মৌখিকভাবে,কখনও লিখিত আকারে এইসব শব্দবন্ধেই তাঁর মত প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর।অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তাঁর সমালোচনার অভিমুখ ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আইনশৃঙ্খলার প্রশ্নে মুখ্যসচিবকে রাজভবনে তলব করতে দেখা গিয়েছে রাজ্যপালকে। রাজ্যপালকে পাল্টা আক্রমণ করেছে রাজ্যের শাসক দলও। রাজভবন বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে রূপান্তরিত হয়েছে বলেও কটাক্ষ করা হয়েছে। রাজভবন-নবান্নের সেই সংঘাতেই নয়া মাত্রা দিয়েই এবার রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তাঁর অপসারণ চেয়ে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে চিঠি দিলেন তৃণমূলের পাঁচ সাংসদ। সেই চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, ডেরেক ও-ব্রায়েন, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সুখেন্দুশেখর রায় এবং কাকলি ঘোষ দস্তিদার। রাজ্যপাল সংবিধান মেনে কাজ করছেন না বলে অভিযোগ করা হয়েছে চিঠিতে। পশ্চিমবঙ্গের মানুষের কল্যাণে কাজ করার যে শপথ তিনি নিয়েছিলেন তা লঙ্ঘিত হচ্ছে বলেই বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে দীর্ঘ কয়েক পাতার চিঠিতে।

কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপির প্রতি রাজ্যপাল যে পক্ষপাতদুষ্ট তা বোঝাতে বেশ কিছু উদাহরণও তুলে ধরা হয়েছে চিঠিতে। কেন্দ্রের শাসক দল ও রাজ্যের শাসক দল রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বলে তিনি রাজ্যে বিভাজনের রাজনীতি করছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে রাজ্যপালের করা টুইট, সাংবাদিক সম্মেলন, বিবৃতি, ভাষণ থেকে বিশেষ কিছু শব্দবন্ধও তুলে ধরা হয়েছে চিঠিতে। ইংরেজিতে লেখা সেইসব শব্দের মধ্যে রয়েছে অ্যানার্কি (নৈরাজ্য), ললেশনেশ (আইনশৃঙ্খলাহীনতা), পলিটিক্যাল পুলিশ (রাজনৈতিক পুলিশ), কলাপস অব ল অ্যান্ড অর্ডার (আইনশৃঙ্খলার ভেঙে পড়া), গ্রেভ থ্রেট টু ডেমোক্র্যাসি (গণতন্ত্রের পক্ষে ভয়ঙ্কর বিপদ), পলিটিসিয়ান অফিসিয়ালস (রাজনৈতিক আধিকারিক), টাইম ফর অল টু ওয়েক আপ অ্যান্ড রেস্টোর রুল অব ল (সবাইকে উদ্যোগী হয়ে আইনের শাসন ফিরিয়ে আনতে হবে)।