Date : 2024-04-26

বিশ্বভারতীর শতবর্ষ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী, মু্খ্যমন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে বিতর্ক

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নিজের হাতে গড়া বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উদযাপনের অনুষ্ঠানেও যেন রাজনীতির অনুপ্রবেশ।ভার্চুয়ালে মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন প্রধানমন্ত্রী। দীর্ঘ ভাষণও দিলেন। কিন্তু উল্লেখযোগ্য গরহাজির রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় হলেও রাজ্যের একটি গর্বের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমন গৌরবের দিনে মুখ্যমন্ত্রীর অনুপস্থিতি বহু প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।তাঁকে কি আমন্ত্রণই জানানো হয়নি। নাকি আমন্ত্রণ পেয়েও তিনি আসেননি। রাজ্যের মন্ত্রী তথা নাট্যকার ব্রাত্য বসুর বক্তব্য, এই অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীকে আনুষ্ঠানিকভাবে আমন্ত্রণই জানানো হয়নি। গত ১৫ দিনে এমন কোনও আমন্ত্রণপত্র মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে পৌঁছয়নি।

পশ্চিমবঙ্গের দুয়ারে বিধানসভা ভোট। তার আগে সবকিছুতেই একে অপরকে নিশানা করছে বিজেপি ও তৃণমূল। বিশ্বভারতীর অনুষ্ঠানও যেন এর ব্যতিক্রম হতে পারল না। অনুষ্ঠানে সশরীরে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। ছিলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণ শুরু করেন বাংলায়। এরপর হিন্দিতে তিনি যা বলেন, তাতে মাঝেমধ্যেই ছিল রবীন্দ্রনাথের গুজরাত-যোগ।রবীন্দ্রনাথের দাদা সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্মসূত্রে আমেদাবাদে থাকতেন। সেই প্রসঙ্গ তুলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাঝেমধ্যেই গুজরাতে দাদার কাছে যেতেন রবীন্দ্রনাথ। গুজরাতি সংস্কৃতিও তিনি খুবই ভালোবাসতেন। প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে উঠে এসেছে আত্মনির্ভর ভারতের কথা। তাঁর কথায়, আত্মনির্ভর ভারতের ভাবনা চালু করেছিলেন গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরই। জ্ঞানের আন্দোলনে রবীন্দ্রনাথের হাতে তৈরি বিশ্বভারতী একটি দিশা বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।