Date : 2024-03-19

ভোটের আগে লক্ষ্মী-ছাড়া তৃণমূল, ছাড়লেন মন্ত্রিত্ব, তবুও প্রশংসায় ভরালেন মুখ্যমন্ত্রী

রাজনীতির জগতের লোক ছিলেন না। ক্রিকেটের বাইশ গজেই ছিলেন সাবলীল। একসময় জাতীয় দলের জার্সিও গায়ে উঠেছিল। এরপর কালীঘাট থেকে এল ডাক। সেই প্রথম রাজনৈতিক দলের জার্সি গায়ে চড়ালেন লক্ষ্মীরতন শুক্লা। প্রথমে বিধায়ক, তারপর মন্ত্রিত্ব। হয়ে গেলেন রাজ্যের ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী।প্রাপ্তি আরও হল। অরূপ রায়ের জায়গায় হাওড়ায় তৃণমূলের জেলা সভাপতির দায়িত্বও তাঁর কাঁধে দেন তৃণমূল সুপ্রিমো। চলছিল ভালই। কিন্তু ভোট-বাজারে কখন যে কী হয়ে যায় বলা যায় না। হয়েছেও ঠিক তাই। লক্ষ্মী ছেলেও হঠাৎ জানিয়ে দিলেন, রাজনীতি নয়, খেলার দুনিয়াতেই মনোনিবেশ করতে চান তিনি। তৃণমুল সুপ্রিমোকে লেখা চিঠিতে লক্ষ্মী জানিয়েছেন, রাজনীতি থেকে পুরোপুরি সরে দাঁড়াতে চান তিনি। তৃণমূলের কোনও পদেই তিনি থাকতে চান না। তবে বিধায়ক হিসাবে বাকি মেয়াদটুকু কাটিয়ে দিতে চান। লক্ষ্মীরতনের এই ঘোষণার পরেই আক্রমণাত্মক সুরে তাঁকে বিঁধেছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তাঁর কথায়, ভোটের আগে নাটক করছেন লক্ষ্মী। এতদিন সব সুযোগ সুবিধা নিয়েছেন ও পেয়েছেন। এখন ঠিক কী করতে চাইছেন তা সবাই বুঝতে পারছে। সুযোগ বুঝে তৃণমূলকে বিঁধেছে বিরোধীরাও। তৃণমূলের মৃত্যুঘণ্টা বেজে গিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন কংগ্রেস বিধায়ক আব্দুল মান্নান। তৃণমূল দলটাই উঠে যাবে, বলেছেন বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার। তবে লক্ষ্মীরতন প্রশ্নে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, লক্ষ্মী ভালো ছেলে, খেলার জগতে মনোনিবেশ করতে চায় বলে রাজনীতি থেকে অবসর নিতে চেয়েছে। যে কেউ পদত্যাগ করতেই পারেন। এ নিয়ে জল্পনার বেশিকিছু নেই বলেই তাঁর মত।