Date : 2024-03-29

মার্কিন ইতিহাসে বেনজির, দ্বিতীয়বার ইমপিচ হলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

মেয়াদ শেষ হওয়ার ৬ দিন আগে নজিরবিহীনভাবে দ্বিতীয়বারের জন্য ইমপিচ হলেন বিদায়ী মা্র্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন কংগ্রেসের নিম্মকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে ফের ইমপিচ করা হয়েছে তাঁকে। ডেমোক্র্যাটদের পাশাপাশি রিপাবলিকানদের ১০ জন ইমপিচমেন্ট প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেন। গত ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলে ট্রাম্প সমর্থকরা তাণ্ডব চালায়। সেই তাণ্ডবের পিছনে ট্রাম্পের প্ররোচনা ছিল বলে অভিযোগ। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনা হয় ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব। এ বার মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সেনেটে পাঠানো হবে প্রস্তাব। ১০০ সদস্যের সেনেটে প্রস্তাব পাশ হতে লাগবে দুই-তৃতীয়াংশ সেনেটরের সমর্থন। ডেমোক্র্যাটদের পক্ষে অতজন সেনেটরের সমর্থন পাওয়ার সম্ভাবনা কম। ফলে ট্রাম্প বেঁচে গেলেও যেতে পারেন।

আগামী ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট পদে ট্রাম্পের শেষ দিন। ১৯ জানুয়ারির আগে সেনেট বসবে না। তাই প্রস্তাব সেনেটে গেলেও ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট পদে থাকাকালীন প্রস্তাব পাশ হওয়ার সময় ও সুযোগ দুই কম থাকবে। প্রেসিডেন্টকে দোষী সাব্যস্ত করার জন্য সেনেটে উপস্থিত সদস্যদের দুই-তৃতীয়াংশকে প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিতে হবে। প্রস্তাব পাশ না হলে সেখানেই বন্ধ হয়ে যাবে ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়া। মার্কিন সেনেটের মোট সদস্য সংখ্যা ১০০। সে ক্ষেত্রে ইমপিচমেন্টের পক্ষে লাগবে কমপক্ষে ৬৭টি ভোট। বর্তমানে সেনেটে বাইডেনের ডেমোক্র্যাটদের আসন সংখ্যা ৪৮। ট্রাম্পের রিপাবলিকানদের রয়েছে ৫০টি আসন। ফলে রিপাবলিকানরা পাশে না দাঁড়ালে প্রস্তাব পাশ হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।

ইমপিচমেন্ট একটি সাংবিধানিক প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়ার লক্ষ্য প্রেসিডেন্টের কুর্সিতে থাকা কাউকে খারাপ আচরণ বা কাজের জন্য পদ থেকে সরানো। পাশাপাশি ওই ব্যক্তি যাতে ভবিষ্যতে প্রেসিডন্ট পদে ফের লড়াই করতে না পারেন তাও সুনিশ্চিত করা। ফলে ট্রাম্প দোষী সাব্যস্ত হলে তিনি আগামীদিনে আর কখনই মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না। প্রেসিডেন্ট পদে পর্যুদস্ত হওয়া ট্রাম্পের জন্য এই ইমপিচেমন্ট প্রস্তাব তাই অশনি সংকেত বলাই যায়। হাউসের পরে সেনেটেও প্রস্তাব পাশ হলে তার পক্ষে দলের হাল ধরে রাখা কঠিন হবে। তবে সাংবিধানিক এই প্রক্রিয়ার বাইরে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পাবেন ট্রাম্প।