অতিমারী করোনার জেরে ২০২০ সালের মার্চ থেকে দীর্ঘ চার মাস লকডাউনের সাক্ষী হয়েছিল দেশ। স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল সব ব্যবসায়িক কার্যকলাপ। থমকে গিয়েছিল ব্যবসা-বাণিজ্য, দোকান, বাজার, হোটেল, পর্যটন, কলকারখানা, স্কুল, কলেজ। দেশ দেখেছিল পরিযায়ী শ্রমিকের দুর্দশা। সেপ্টেম্বর পরবর্তী পর্যায়ে ধীরে-ধীরে ফের স্বাভাবিকের পথে দেশ। নতুন বছরে দৈনিক সংক্রমণও অনেক কমে গিয়েছে। তবে ভারতীয় অর্থনীতিতে বড়সড় ছোবল মেরে গিয়েছে লকডাউন। সরকারি রাজস্ব আদায় কমেছে। বন্ধ হয়ে গিয়েছে বহু ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প। কাজ হারিয়েছেন অসংখ্য মানুষ। এমন এক আবহেই সংসদে ২০২১-২২ অর্থ বছরের কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। সেই বাজেটে তিনটি ক্ষেত্রে বিশেষ জোর দিয়েছেন নির্মলা। প্রথমত স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা। এই খাতে ১৩৭ শতাংশ খরচ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। স্বাস্থ্যে বরাদ্দ বেড়ে হয়েছে ২ লক্ষ ৮৩ হাজার কোটি টাকা। করোনা প্রতিষেধকে বরাদ্দ করা হয়েছে ৩৫ হাজার কোটি টাকা। বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে কৃষি ও কৃষক সমাজ। তিন নয়া কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে এখনও আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন উত্তর ভারতের কৃষকদের একাংশ। নির্মলা জানিয়েছেন, কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করতে সরকার বদ্ধপরিকর। চাল, গম, ডাল জাতীয় শস্যে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বাড়ানোর কথাও বলা হয়েছে এই বাজেটে। কৃষি পরিকাঠামো উন্নয়নে পেট্রোল ও ডিজেলে কৃষি সেস বসানোর প্রস্তাব করেছেন নির্মলা। পেট্রোলে লিটারে আড়াই টাকা ও ডিজেলের লিটারে চার টাকা কৃষি সেস বসানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। নিউ নর্মালে মধ্যবিত্ত ও চাকরিজীবীদের স্বস্তি দিতে ব্যক্তিগত আয়করে অর্থমন্ত্রী কিছু ছাড়ের ঘোষণা করবেন এমনটাই প্রত্যাশা ছিল বিভিন্ন মহলের। অর্থমন্ত্রী সেই রাস্তায় হাঁটেননি। অপরিবর্তিতই রেখেছেন ব্যক্তিগত আয়কর কাঠামো। তবে সুদ নির্ভর ৭৫ বছরের বেশি বয়সি প্রবীণদের স্বস্তি দিয়ে ঘোষণা করেছেন তাঁদের আয়কর রিটার্ন ফাইল করতে হবে না। অর্থাৎ ৭৫ বছরের বেশি বয়সিদের আয়কর থেকে সম্পূর্ণ রেহাই দেওয়া হয়েছে।
Facebook
Instagram
Twitter

Rplus is most proud of how its work impacts the real world and how it is using its powerful reach to campaign for and with the people of Bengal.