দুয়ারে বিধানসভা ভোট। তার আগে ২০২১-২২ অর্থবর্ষের প্রথম চার মাসের জন্য ভোট অন অ্যাকাউন্ট পেশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বাস্থ্য, শিক্ষায় যেমন কিছু নতুন প্রস্তাব রয়েছে, তেমনি জোর দেওয়া হয়েছে পরিকাঠামোয়। বিশেষ করে গ্রামীণ সড়ক। আগামী ৫ বছরে ৪৬ হাজার কিলোমিটার গ্রামীণ সড়ক নির্মাণ করা হবে। কলকাতা-সহ শহুরে এলাকায় বেশ কয়েকটি উড়ালপুল নির্মাণের প্রস্তাব করা হয়েছে বাজেটে। বিধানসভায় গত ১০ বছরে বিরোধীদের বলতে দেওয়া হয়নি, এই অভিযোগে মুখ্যমন্ত্রীর বাজেট ভাষণ বয়কট করেন বাম ও কংগ্রেস বিধায়করা। বিজেপি বিধায়করা অবশ্য শুরুতে উপস্থিত ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী বলতে শুরু করতেই তাঁরা চিৎকার শুরু করেন। মুখ্যমন্ত্রী কেন বাজেট পড়বেন তা নিয়ে আপত্তি জানান তাঁরা। হস্তক্ষেপ করেন বিধানসভার স্পিকার। বিরোধীদের শান্ত ও সংযত হতে বলেন তিনি। তাতেও বিজেপি বিধায়কদের শান্ত করা যায়নি। তাঁরা ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। এমনকি জয় শ্রীরাম স্লোগানও দিতে থাকেন। এরপর একযোগে কক্ষ ত্যাগ করেন তাঁরা। ফলে মুখ্যমন্ত্রী যখন ফের বলতে শুরু করেন তখন বিধানসভা পুরোপুরি বিরোধীশূন্য। সেই বিধানসভাতেই বাজেট পেশ করেন মুখ্যমন্ত্রী।
রাজ্য বাজেট একনজরে।
পার্শ্বশিক্ষকদের প্রতি বছর ৩ শতাংশ বেতন বৃদ্ধির প্রস্তাব।
পার্শ্বশিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধিতে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ।
তফসিলি জাতি-উপজাতি-আদিবাসীদের জন্য ১০০টি নতুন স্কুল।
অলচিকি লিপিতে পড়ার জন্য ৫০০টি নতুন স্কুল।
চা বাগান এলাকায় আগামী ৫ বছরে ১০০টি নতুন স্কুল তৈরির প্রস্তাব।
হিন্দি, নেপালি-সহ আঞ্চলিক ভাষায় পড়ানোর জন্য ১০০টি নতুন স্কুল।
তফসিলি জাতি-উপজাতিদের জন্য ২০ লক্ষ গৃহ নির্মাণ।
মাদ্রাসাগুলিকে আর্থিক সহায়তার জন্য ৫০ কোটি টাকা।
স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের জন্য ১৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ।
স্বাস্থ্যসাথী কার্ড প্রতি ৩ বছরে নবিকরণ করা যাবে।
বছরে ২ বার দুয়ারে সরকার ও পাড়ায়-পাড়ায় সমাধান।
আগামী ৫ বছরে ৪৬ হাজার কিলোমিটার গ্রামীণ রাস্তা তৈরি হবে।
গ্রামীণ রাস্তা তৈরির জন্য ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ।
নেতাজির ১২৫তম জন্মবার্ষিকীতে নিউটাউনে ১০০ কোটি টাকায় গড়ে তোলা হবে আজাদ হিন্দ ফৌজ স্মারক।
কলকাতা পুলিশে নেতাজি ব্যাটেলিয়ন গড়ে তোলা হবে।
নেতাজি স্মরণে প্রতি জেলায় গড়ে তোলা হবে জয় হিন্দ ভবন।
নতুন শিল্প করিডরের জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব।
২০২১ সালের ৩১ জুলাই পর্যন্ত যাত্রী পরিবহণে রোড ট্যাক্স মকুব।
অন্ডালে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জন্য ২ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব।