Date : 2024-04-24

জি-সেভেন সামিটে মুখ পুড়ল চিনের

ওয়েব ডেস্ক: বেজিংয়ের নীতি নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়ে, জি-সেভেন সামিটকে রাজনৈতিক কারসাজি আখ্যা দিল চিন। ৩দিন ব্যাপী সামিট শেষে চিনকে জি-সেভেন  সদস্য দেশগুলি জানায় মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতার সম্মান করা উচিৎ।

উল্লেখ্য, সামিটে একাধিক ইস্যু উঠে এসেছে। উইঘুর মুসলিমদের উপর অত্যাচার, হংকংয়ে গণতন্ত্রপন্থীদের আটকানোর মতো ইস্যু তার মধ্যে অন্যতম। যদিও ব্রিটেনে অবস্থিত চিনা দূতাবাস এসব অভিযোগকে ভিত্তিহীন আখ্যা দিয়েছে। চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র একটি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, চিনকে অপমান করা বন্ধ হোক। চিনের আভ্যন্তরীন বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার আর্জিও জানিয়েছেন তিনি। এতে চিনের স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন চিনা মুখপাত্র।

জি-সেভেন সামিটে যেসব দেশগুলি ছিল তা হল, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, ব্রিটেন ও আমেরিকা। সামিটে মূলত মহামারী করোনাভাইরাস, আবহাওয়া বদলের বিরুদ্ধে লড়াই সহ বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এছাড়াও চিনের বিরুদ্ধে একাধিক ইস্যু নিয়ে সরব হয়েছেন ওই সাতটি দেশের রাষ্ট্রনায়করা। শিঞ্জিয়াং-এ মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগও তুলেছেন তাঁরা।

উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল শিঞ্জিয়াংয়ে মূলত উইঘুর এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের বসবাস। সংশ্লিষ্ট মহলের বিশেষজ্ঞদের মত, চিন হাজার হাজার উইঘুর ও অন্যান্য মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষজনকে অন্যায়ভাবে আটক করেছে। ২০১৭ সাল থেকেই এমন অত্যাচার শুরু করেছে চিন। শুধুমাত্র শারীরিক নয় মানসিকভাবেও তাঁদের উপর অত্যাচার চালানো হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। যদিও সমস্ত অভিযোগ উড়িয়েছে শি জিনপিং প্রশাসন।

জি-সেভেন সামিটে হংকংয়ের বাসিন্দাদের স্বাধীনতার পক্ষে সওয়াল করেছেন রাষ্ট্রনেতারা। গতবছরই চিন একটি নতুন আইন পাশ করিয়েছে। প্রতিবাদীদের হাতের মুঠোয় রাখতেই ওই নতুন আইন পাশ  করানো হয়েছিল বলে বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশের মত।