Date : 2024-04-19

বিড়ম্বনা ! শিক্ষক আজ ফেরিওয়ালা

শিক্ষক থেকে ফেরিওয়ালা। ভাগ্যের পরিহাসে কঠিন বাস্তবের মুখে তুফানগঞ্জের বক্সিরহাটে মণীন্দ্র দত্ত। অভাবের সংসারে তিনিই আশার আলো। বক্সিরহাট হাইস্কুলে অতিথি শিক্ষক হিসাবে যোগ দিলেও স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সংসারের ভাঁড়ারে টান পড়েছে। তাই অসুস্থ বাবা ও মায়ের মুখে অন্ন তুলে দিতে হরেকমাল ফেরি করে বেড়াচ্ছেন মণীন্দ্র বাবু।

নিয়তির কী পরিহাস। একসময় যিনি পড়ুয়াদের পাঠ দিয়েছেন তিনি কিনা পেট চালাতে ভ্যান চালিয়ে ফেরি করে বেড়াচ্ছেন। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই নির্মম সত্যি। কোচবিহারের বক্সিরহাটের মণীন্দ্র দত্ত দারিদ্রকে সঙ্গে নিয়ে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হয়েছেন। 2016 সালে স্নাতকোত্তরে বিজ্ঞান বিভাগে ভালো ফল করে ভেবেছিলেন এবার হয়তো সুদিন ফিরবে।

কোনওরকমে কষ্টে-শিষ্টে চলা সংসার তার আয়ে মুখ তুলে দাঁড়াবে করোনার ঝাপ্টায় মণীন্দ্রর সেই ভাবনা দুমড়ে-মুচড়ে গেছে। কয়েকমাস আগেই কোচবিহারের তুফানগঞ্জের বক্সিরহাট হাইস্কুলে অতিথি শিক্ষক হিসাবে যোগ দিয়েছেন মণীন্দ্র। করোনার শৃঙ্খলভাঙতে রাজ্যে বিধি নিষেধের জেরে স্কুলের গেটে তালা। তাই সংসারের জোয়াল টানতে ভ্যানে করে ফেরি করেন মণীন্দ্র।

একচালা টিনের ঘরে আধ পেটা খেয়ে ছেলেকে শিক্ষিত করেছিলেন মণীন্দ্রের বাবা-মা। ভেবেছিলেন ভবিষ্যতে এই মেধাবী ছেলেই হবে তাঁদের সুখের ঠিকানা। কিন্তু দুঃখ যেন তাঁদের জীবনে বেড়ি পরিয়ে দিয়েছে।

এত কিছুর পরেও হাল ছাড়েননি মণীন্দ্র দত্ত। বিএড পাশ করে স্থায়ী চাকরীর স্বপ্ন দেখছেন তিনি। হাল না ছাড়া এই মনোভাব একদিন নিশ্চয় অন্ধকার দূর করে ভোর আনবে