Date : 2024-04-19

বাংলার প্রতি প্রতিহিংসার রাজনীতি বিজেপি-র। অভিযোগ খোদ বিজেপি বিধায়কের

সঞ্জু সুর, রিপোর্টার : তিনমাস আগে রাজ্যে তখন ভোটের আবহ। একদিকে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খোঁড়া পা নিয়ে হুইলচেয়ারে করেই একের পর এক জনসভা করে চলেছেন কলকাতা থেকে কোচবিহার। আর প্রতিটি জনসভায় তিনি নিয়ম করে অভিযোগ করে চলেছেন কেন্দ্রের বিজেপি সরকার কেমন করে বারবার রাজ্যকে বঞ্চিত করে চলেছে। এমনকি নির্বাচন পর্ব মিটে যাওয়ার পর এরাজ্যে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসেও বারবার মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করে চলেছেন যে, ভোটে হেরে রাজ্যের প্রতি এখন প্রতিহিংসা চরিতার্থ করছে বিজেপি। এবার সেই একই কথা শোনা গেল এক বিজেপি বিধায়কের মুখে।

বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর বিধানসভা আসনে সদ্য জয়লাভ করেছেন তন্ময় ঘোষ। একটা সময়ের যুব তৃণমূল করা তন্ময় লোকসভা ভোটের সময় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। বাঁকুড়ার প্রাক্তণ জেলা সভাপতি তথা রাজ্যের প্রাক্তণ মন্ত্রী তথা বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে বিজেপিতে যোগ দেওয়া শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির খুব কাছের ছিলেন তন্ময় ঘোষ। যদিও পরবর্তীকালে তাদের মধ্যে কিছুটা দূরত্ব তৈরি হয়। এদিকে বিধানসভা নির্বাচনে বিষ্ণুপুরের মানুষ শ্যামাপ্রসাদ কে টিকিট না দিয়ে তন্ময় ঘোষ কে টিকিট দেয় বিজেপি। ভোটে তৃণমূলের যুব নেত্রী অর্চিতা বিদ কে পরাজিত করেন তন্ময়। কিন্তু ভোটে জিতে বিধায়ক হয়েও স্বচ্ছন্দে ছিলেন না তন্ময়।

একদিকে দলের গোষ্ঠী কোন্দল অন্যদিকে বিধানসভায় বিরোধী দলনেতার সঙ্গে বনিবনা না হ‌ওয়া, দুইয়ে মিলে শেষপর্যন্ত দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলেন বিষ্ণুপুরের এই বিজেপি বিধায়ক। আর দল ছেড়েই বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে একরে পর এক মারাত্মক অভিযোগ করলেন তিনি। তন্ময়ের মতে, “সারা বাংলা জুড়ে প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে বিজেপি। কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে কাজে লাগিয়ে রাজ্যের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হচ্ছে।” তিনি আরও বলেন, “রাজ্যের উন্নয়নের জন্য সব জনপ্রতিনিধিদের উচিৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে এসে দাঁড়ানো।”
মুকুল রায়ের পর তন্ময় ঘোষ। তিন মাসের মধ্যেই দুই বিজেপি বিধায়ক দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন। আগামীদিনে এই দলত্যাগীদের সংখ্যা যে আরো বাড়বে তা এখন থেকেই বলা যায়।