Date : 2024-03-29

Cyclone Gulab : ‘আমফান’, ‘ইয়াশ’ থেকে শিক্ষা। মোকাবিলায় প্রস্তুত প্রশাসন

সঞ্জু সুর, রিপোর্টার : আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড় ‘গুলাব’ আছড়ে পড়তে পারে ওড়িষ্যা অন্ধ্রপ্রদেশ সীমানার কলিঙ্গপত্তনমে। কিন্তু তার প্রভাবে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলোতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বেশি প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে কলকাতা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে। সেকথা মাথায় রেখেই প্রস্তুত এই তিন জেলা প্রশাসন সহ দক্ষিণ বঙ্গের সবকটি জেলা।

বুধবারের পর শনিবার। বিপর্যয় মোকাবিলায় চারদিনে দু’বার দক্ষিণ বঙ্গের জেলাশাসকদের সাথে বিপর্যয় নিয়ে বৈঠক সারলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। নবান্ন সূত্রে খবর, বৈঠকে সবকটি জেলা প্রশাসনের সমস্ত আধিকারিকদের সতর্ক করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই সব রাজ্য সরকারি কর্মিদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত। অতিবৃষ্টির ফলে নীচু এলাকা জলমগ্ন হতে পারে, ফলে সে বিষয়ে প্রস্তুতি সেরে রাখার পাশাপাশি কাঁচা বাড়িতে যারা রয়েছেন তাদের অবশ্যই ২৫ তারিখ রাত বা ২৬ তারিখ সকালের মধ্যেই সকলকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রতিটি জেলা প্রশাসনকে। জেলার আধিকারিক সহ কর্মিদের জন্য আভ্যন্তরীন প্রশাসনিক বার্তায় বলা হয়েছে, বুলবুল; আমফান বা ইয়াস এর ক্ষেত্রে সঠিক প্ল্যান অনুযায়ী কাজ করায় ক্ষয়ক্ষতি অনেকটাই আটকানো গিয়েছে। এবার‌ও সেই প্রস্তুতি সবাইকে নিতে হবে। পাশাপাশি সাত দফা নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে বলেও সূত্রের খবর।

১) ২৬ তারিখ সকাল থেকে ২৭ তারিখ সকালের মধ্যেই পুলিশ প্রশাসন, পঞ্চায়েত ও কন্ট্রোল রুমের মধ্যে সমন্বয় রেখে সবাইকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যেতে হবে। প্রয়োজনে নদী ও সমুদ্র তীরবর্তী এলাকায় মাইকিং করে সবাইকে সতর্ক করতে হবে।

২) ৫ অক্টোবর পর্যন্ত মৎসজীবিদের সমুদ্র যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা।

৩) আজ থেকেই কন্ট্রোল রুমের দ্বায়িত্বে থাকতে হবে সব প্রয়োজনীয় দফতরের আধিকারিকদের। প্রয়োজনে এই বিষয়ে অর্ডার ইস্যু করবেন এসডিও বা বিডিও-রা।

৪) নদীবাঁধগুলির প্রতি সতর্ক নজর রাখতে হবে যাতে ভেঙে না যায়, বা ভেঙে গেলেও তৎক্ষণাৎ মেরামত করার জন্য প্রয়োজনীয় লোকবলের ব্যবস্থা এখন থেকেই করার জন্য সেচ দফতরের আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

৫) WBSEDCL কে বলা হয়েছে যাতে বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা না ঘটে সেদিকে নজর দিতে।

৬) পর্যাপ্ত পরিমানে খাওয়ার জল, শুকনো খাবার, তার্পোলিন মজুত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

৭) জেলার যে যে গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাতে প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে সেখানে নিরন্তর মাইকিং করে সবাইকে সতর্ক করার কথাও বলা হয়েছে নির্দেশিকায়।

সামনেই দূর্গাপূজা। সূত্রের খবর, তার আগে এই বিপর্যয়ের ফলে ক্ষয়ক্ষতি যথাসম্ভব কমানোর জন্য‌ প্রস্তুতিতে যেন কোনো খামতি না থাকে সেটা নিশ্চিত করতে চাইছে রাজ্য প্রশাসন।