Date : 2024-04-26

দুর্গাপুজোয় যাত্রার প্রত্যাবর্তন

শাহিনা ইয়াসমিন, রিপোর্টার : মরশুম কাটিয়ে মরাগাঙে বান আসার মতোই যাত্রাপাড়ায় প্রবেশ করেছে দখিনা বাতাস। সম্পূর্ণ কোভিড বিধি মেনে 50 শতাংশ দর্শক নিয়ে যাত্রা মঞ্চস্থ করার অনুমতি দিল রাজ্য সরকার। এই খবর পৌঁছানো মাত্রই চিৎপুর যাত্রা পাড়ায় বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস, স্বস্তির আবহ।চড়া আলো, বিশেষ মিউজিক, নাচ, গান। দুর্গা পুজো হোক বা অন্যকোনও উৎসব-অনুষ্ঠান শহরতলি ও গ্রামাঞ্চলের মনোরঞ্জনের অন্যতম মাধ্যম যাত্রাপালা।

রথের দিন থেকেই চিৎপুরের যাত্রা পাড়ায় বায়না আসতে শুরু করে। পুজোর মরশুমে কিছুটা বাড়তি লাভ হয় যাত্রা শিল্পীদের। তবে করোনা ও লকডাউন থেকে বাদ পড়েনি চিৎপুর যাত্রা পাড়া। লকডাউনের জেরে বেশিরভাগ অপেরা বন্ধ ছিল। জমায়েত এড়াতেই বন্ধ ছিল শো। ঠিক মতো মহড়াও হচ্ছিল না।

কিন্তু এবার 50 শতাংশ দর্শক নিয়ে যাত্রা আবার শুরু করা যাবে। এই খবরে অনেকটাই স্বস্তি পেয়েছে অপেরা কর্তা ও যাত্রা শিল্পীরা। পশ্চিমবঙ্গ যাত্রা সম্মেলনের সভাপতি সমীর সেন বলেন সরকারি তরফে ছাড়পত্র পাওয়ার পরেই জোরকদমে শুরু হয়ে গেছে চলতি যাত্রা মরশুমের জন্য রিহার্সাল।

রিহার্সাল রুম স্যানিটাইজ করা। মুখে মাস্ক পড়া। সকল স্বাস্থ্যবিধি মেনেই মহড়া চলবে বলে জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ যাত্রা সম্মেলনের সভাপতি সমীর সেন।

করোনার প্রকোপের কারণে রথের দিন বিভিন্ন অপেরা অফিসগুলি শুনশান ছিল। প্রতিবছর যেখানে এই সময় 25 থেকে 30 টি পালা বায়না হতো সেখানে এবছর হাতেগোনা কয়েকটি পালা বায়না হয়েছে মাত্র। এন্টারটেইনমেন্টের জগতে যাত্রাশিল্প টিকে থাকাই এখন চ্যালেঞ্জ। সেক্ষেত্রে করোনার জেরে আরও ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে অপেরা মালিক থেকে শুরু করে যাত্রার সঙ্গে যুক্ত শিল্পী ও কর্মীদের। দীর্ঘ অপেক্ষার পর সরকারি তরফ থেকে অনুমোদন মেলায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে চিৎপুর যাত্রাপাড়ার মানুষজন।