Date : 2024-04-25

শেষদিনের প্রচারে ধুন্ধুমার, বিজেপির সভায় আক্রমণের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

মাম্পি রায় , নিউজ ডেস্ক : ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন।  একদিকে হেভিওয়েট তৃণমূল প্রার্থী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল এবং বামপ্রার্থী শ্ৰীজীব বিশ্বাস। ২৭ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ সোমবার ছিল  প্রচারের শেষদিন।

প্রচারের শেষ দিনেই ধুন্ধুমারকাণ্ড যদুবাবুর বাজারে। বিজেপির সভায় আক্রমণের অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষকে লক্ষ্য করে গো ব্যাক ও জয় বাংলা স্লোগান দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।দুপক্ষের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। ঘটনায় দিলীপ ঘোষকে নিগ্রহের অভিযোগও উঠেছে। গন্ডগোলে মাথা ফাটে এক বিজেপি কর্মীর। মুকুন্দ ঝা নামে আক্রান্ত ওই বিজেপি কর্মীকে এসএসকেএমে ভর্তি করা হয়। তাঁকে দেখতে হাসপাতালে যান রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সেখানেও তৃণমূলের উপর ক্ষোভ উগড়ে দেন তিনি।টনায় তৃণমূলকে নিশানা করেছেন প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল, শুভেন্দু অধিকারী এবং সুকান্ত মজুমদার।

ভবানীপুরের বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালের 

কটাক্ষ, দুবারের বিধায়ক তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের কেন্দ্রেই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামলাতে পারেন না, তিনি পশ্চিমবঙ্গকে  কি করে সামলাবেন?  প্রশ্ন তুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে  বিঁধলেন প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল।  বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, কোনো বিধায়কের মৃত্যু হলে কিংবা দল পরিবর্তন করলেই সেই কেন্দ্রে উপনির্বাচন হয়। তবে ভবানীপুরে কেন উপনির্বাচন করা হচ্ছে ? জনতার টাকা নয়ছয় করার কোনো অধিকার তৃণমূল কংগ্রেসের নেই বলে কটাক্ষ করেন তিনি।

অন্যদিকে তৃণমূল ভয় পেয়েই দিলীপ ঘোষের উপর হামলা চালিয়েছে বলে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের প্রাণ সংশয় হতে পারত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।এদিকে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন,

তৃণমূল কংগ্রেস কাউকে প্রচারে বাধা দেয়নি।বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে অনেক বেফাঁস মন্তব্য করেছেন। সেজন্যই হামলার মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে।এরইমধ্যে বিজেপির উপর হামলার ঘটনায় সরব হয়েছেন ভবানীপুরের বামপ্রার্থী শ্রীজীব বিশ্বাস। তিনি জানান, অনুমতি থাকা সত্বেও হরিশ চ্যাটার্জী স্ট্রিটে বাধার মুখে পড়তে হয়েছে বামেদের। শ্রীজীবের কটাক্ষ, ভবানীপুর কেন্দ্রে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে কাজ করছে পুলিশ প্রশাসন। সেজন্যই সমস্ত বিরোধী দলকে বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে।

সবমিলিয়ে ভবানীপুর কেন্দ্রে শেষদিনের প্রচার ঘিরে দিনভর সরগরম রইল রাজ্য রাজনীতি।