Date : 2024-04-19

BJP State President : বড় দায়িত্ব পেয়ে একগুচ্ছ চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি সুকান্ত মজুমদার

মাম্পি রায়, নিউজ ডেস্ক : 2019এ রাজনীতির আঙিনায় বিজেপির সাংসদ হিসেবে বালুরঘাটে সক্রিয় হয়ে ওঠেন সুকান্ত মজুমদার। 11বছর রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের প্রচারক হিসেবে কাজ করেন তিনি। তারপর দিল্লির নেতাদের একটা ফোনই বদলে দিল তাঁর ভূমিকা। তৃণমূল সরকারকে উৎখাত করাটাই রাজ্য বিজেপি সভাপতি হিসেবে তাঁর মূল লক্ষ্য বলে হুঁশিয়ারি দিলেন সুকান্ত মজুমদার। রাজ্য বিজেপি সভাপতির দায়িত্বভার নিয়েই একাধিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি সুকান্ত মজুমদার।

নতুন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানান-

দিলীপ ঘোষের ছেড়ে যাওয়া জায়গা থেকে শুরু করতে চান তিনি।তাঁর প্রথম চ্যালেঞ্জ ভবানীপুর সহ 3 কেন্দ্রের ভোট।
মেয়াদ উত্তীর্ণ রাজ্যের 109টি পুরসভার নির্বাচন।নতুন বুথ কমিটি তৈরি করে লড়াইয়ে ঝাঁপাতে চান।ভোটের পর থেকেই, বিজেপিতে দল ছাড়ার হিড়িক।যা সুকান্তর কাছে অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ।

রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব নিয়েই সুকান্ত মজুমদারের দাওয়াই, ‘ যারা যেতে চান চলে যেতে পারেন’।’ দলের প্রতি প্রকৃত ভালবাসা থাকলে, একসঙ্গে কাজ করার বার্তাও দেন তিনি।
আগামীদিনে রাজ্য বিজেপি সভাপতি হিসেবে, সুকান্ত মজুমদারের অন্যতম চ্যালেঞ্জ হল- দলে আদি-নব্য দ্বন্দ্ব মেটানো
তবে কি দিলীপের তৈরি জেলা কমিটি ভেঙে নতুন করে গড়বেন তিনি ? সেখানেও কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে পারেন সুকান্ত।দিলীপ ঘোষের জমানায় 2 থেকে 18-এ পৌঁছেছিল বিজেপি সাংসদের সংখ্যা।

বাংলা থেকে সাংসদের সংখ্যা বাড়ানোটাই চ্যালেঞ্জ সুকান্তর। ভোটে জিতে সাংসদ সংখ্যা বাড়ানোর জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল প্রচার। সেক্ষেত্রে জনসংযোগের কৌশল হিসেবে প্রাতঃভ্রমণ ও চায়ে পে চর্চাকেই বেছে নিয়েছিলেন প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। নতুন সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানান, চায়ে পে চর্চা নয়, অন্য কোনোভাবে প্রচার করবেন তিনি। পাশাপাশি নিজের মতো প্রচার চালিয়ে যাবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

সবমিলিয়ে রাজ্য বিজেপি সভাপতির চেয়ারে বসেই প্রায় 10টি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে সুকান্ত মজুমদারকে।