স্নেহাশীষ চট্টোপাধ্যায়, রিপোর্টার : দুয়ারে রেশন নিয়ে সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির এজলাসে দৃষ্টি আকর্ষন। মামলা দায়েরের আর্জি মামলাকারীদের । কয়েকজন রেশন ডিলারের তাঁরা আবেদন জানান।ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল মালাকারীদের উদ্যেশে এই মামলা শোনার এক্তিয়ার আমার নেই। মামলা শোনার এক্তিয়ার রয়েছে বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চের। আপনারা ওনার দৃষ্টি আকর্ষণ করুন।
এর পরেই আবেদনকারীরা এজলাস থেকে চলে যান। সকাল ১১.৩০ বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের এজলাসে দৃষ্টি আকর্ষণকরেন আবেদনকারীরা। বিচারপতি দ্রুত শুনানি গ্রহণ না করলে পুনরায় তারা ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির এজলাস এই আবেদন জানাবেন। দুয়ারে রেশন মামলায় সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ মামলাকারী ডিলাররা। গতকালের রায়ের ওপর স্থগিতাদেশের আর্জি।চাওয়া হল মামলা দায়ের করার অনুমতি।জরুরিভিত্তিতে শুনানির আর্জি। গতকালই রাজ্যের এই প্রকল্পে সীলমোহর দিয়েছিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।
মামলা দায়ের করার অনুমতি দিল আদালত।যদিও জরুরি ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার শুনানির প্রয়োজন আছে বলে মনে করে না আদালত। বুধবার মামলার রায়ে বিচারপতি অমৃতা সিনহা বলেন বন্ধ হচ্ছেনা “দুয়ারে রেশন” প্রকল্প,বাড়ি বাড়ি গিয়ে রেশন দেওয়ার যে প্রকল্প রাজ্য চালু করেছে তাতে সীলমোহর আদালতের।দুয়ারে রেশন প্রকল্পের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন কয়েকজন রেশন ডিলার।বুধবার তাঁদের সেই আবেদন খারিজ করে দিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।
মামলা প্রসঙ্গে আইনজীবী তথা সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান খাদ্য সুরক্ষা আইনের কোথাও উল্লেখ নেই যে দুয়ারে রেশন পৌঁছানো যাবে না।বরং রেশন ডিলারা দোকান থেকে খাদ্য সামগ্রী দিলে তাদের কেজি পিছু ৭৫ পয়সা পেতেন।যদি ডিলার,রা মানুষের বাড়ি বাড়ি রেশন পৌঁছে দিলে তাঁরা পাবেন ১টাকা ৫০ ,পয়সা।পাশাপাশি রেশন পৌঁছে দেওয়ার জন্য রেশন ডিলারদের গাড়ি কেনার জন্য রাজ্য সরকার ১ লক্ষ টাকা পাবেন।বৃহত্তর মানুষের স্বার্থ জড়িয়ে রয়েছে এই প্রকল্পে।
“দুয়ারে প্রকল্প” নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে যে মামলা দায়ের হয়েছিল ১১ই সেপ্টেম্বরের শুনানিতে মামলাকারীদের পক্ষের আইনজীবী জয়দীপ কর দাবি করেছিলেন সম্পূর্ণ কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ। কেন্দ্রীয় সহকারী ঠিক করে দেয় কিভাবে প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে রাজ্য সরকার গুলি। কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ মোতাবেক রেশন দোকান থেকে ন্যায্যমূল্যে উপভোগতারা রেশন পেয়ে থাকেন। সুতরাং এই সিস্টেমকে বদলাতে পারে না রাজ্য সরকার।