Date : 2024-04-26

AITC Tripura : মুখ্যমন্ত্রীর নামে মুখ্যসচিবের কাছে নালিশ। নালিশ তৃণমূলের

সঞ্জু সুর, রিপোর্টার : ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের বিরুদ্ধে তাঁরই সরকারের মুখ্য সচিবের কাছে অভিযোগ জানালো তৃণমূল কংগ্রেস। ২৪ তারিখ প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে সুবল ভৌমিক ত্রিপুরার মুখ্য সচিব অলোক কুমার কে চিঠি লিখে অভিযোগ করে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামদাস আঠ‌ওয়ালে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করেছেন। তাই সরকারি আইন অনুযায়ী এঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। চিঠিতে সুবল ভৌমিক দাবি করেছেন পশ্চিম ত্রিপুরার জেলাশাসক রাজীব দত্ত গত কুড়ি তারিখ ১৪৪ ধারার যে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন, সেই অনুযায়ী পূর্ব ও পশ্চিম আগরতলার সমস্ত পুলিশ থানা এলাকায় সব রকম মিটিং,মিছিল,জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত।

এই নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী গত ২৩ তারিখ আগরতলার রবীন্দ্র শতবার্ষিকি ভবনে ত্রিপুরা সরকার আয়োজিত ‘আয়ুষ্মান ভারত’ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। পাশাপাশি ওই একই দিনে আরো একটি বিধিভঙ্গের অভিযোগ ও আনা হয়েছে। আরপিআই নেতা ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামদাস আঠ‌ওয়ালে আগরতলার মুক্তধারা অডিটোরিয়ামে সামাজিক সুরক্ষা সংক্রান্ত এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগ দু’টো অনুষ্ঠানেই ৫০০ জনের বেশি মানুষের জমায়েত ছিলো। টিভি মিডিয়াতে সেই ছবি ধরা পড়েছে বলেই চিঠিতে লিখেছেন ত্রিপুরা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সুবল ভৌমিক। মুখ্য সচিবের কাছে তাঁর জিজ্ঞাসা ১৮৮ আইপিসি ও বিপর্যয় মোকাবিলা আইন’২০০৫ অনুযায়ী এই দু’জনের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না।

জেলাশাসক এর জারি করা নিষেধাজ্ঞা

সুবল ভৌমিক এর আরো অভিযোগ ত্রিপুরা হাইকোর্টের গত ২১/৯/২১ তারিখের রায় থাকা সত্বেও গোমতি জেলার উদয়পুরের কাকরাবান এলাকায় একটি রাজনৈতিক দল মিটিং করতে পারলো, যে মিটিং এ উপস্থিত ছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। তিনি তো নিজে একটি রাজনৈতিক দলের সদস্য। তিনটি ক্ষেত্রেই প্রশাসনের জারি করা নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ করা হয়েছে। একটি রাজনৈতিক দল (তৃণমূল কংগ্রেস) তাদের কোনো কর্মসূচি পালন করছে না সরকারি নিষেধাজ্ঞা কে সম্মান জানিয়ে, কিন্তু সেই সময়ে কি করে অন্য দুই রাজনৈতিক দল এবং এমন কি ত্রিপুরা সরকার তার নিজের জারি করা নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ করে লোক জমায়েত করে কর্মসূচি পালন করছে, এর উত্তর ত্রিপুরার সাধারন মানুষ জানতে চায় বলে চিঠিতে উল্লেখ করেছেন সুবল ভৌমিক।

মুখ্যসচিবকে লেখা চিঠিতে তিনি দাবি করেছেন হয় এইসব আইন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক নয়তো পশ্চিম ত্রিপুরার জেলাশাসক এর জারি করা নিষেধাজ্ঞা ফিরিয়ে নিয়ে সবার গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের সুযোগ করে দেওয়া হোক। সুবল ভৌমিক এর এই চিঠির প্রেক্ষিতে ত্রিপুরার মুখ্যসচিব কি সিদ্ধান্ত নেন সেদিকেই তাকিয়ে ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেস।