সঞ্জু সুর, রিপোর্টার : উত্তর-পূর্ব ভারতে অস্তিত্ব জানান দেওয়ার পাশাপাশি নিজেদের পায়ের তলার জমি শক্ত করতে একের পর এক কর্মসূচি নিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। ত্রিপুরায় সংগঠন ও জনভিত্তি তৈরির জন্য কলকাতা থেকে নিয়ম করেই শীর্ষ নেতারা যাচ্ছেন। সুস্মিতা দেব তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পর আসামেও সেই কাজে কিছুটা এগিয়েছে তৃণমূল। কিন্তু শুধু উত্তর-পূর্বের রাজ্য নিয়ে পরে না থেকে তৃণমূলের নজরে এবার পশ্চিম ভারতের রাজ্য গোয়া।
৪০ আসন বিশিষ্ট গোয়া বিধানসভার পরবর্তী নির্বাচন আর কয়েক মাস বাকি। ২০২২ এর ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসের সেই নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে এখন থেকেই ঘুঁটি সাজাতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই সেখানে তৃণমূলের হয়ে জল মাপার কাজ শুরু করেছে পিকে-র সংস্থা আইপ্যাক। গত সপ্তাহে গোয়া গিয়েছেন তৃণমূলের দুই সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন ও প্রসূণ বন্দ্যোপাধ্যায়। অ্যাংলো ইন্ডিয়ান কমিউনিটির ডেরেক ও’ব্রায়েন ও প্রাক্তণ ফুটবলার প্রসূণ বন্দ্যোপাধ্যায় কে খুব ভেবেচিন্তেই গোয়া তে পাঠানো হয়েছে। তাঁরা ইতিমধ্যেই সেখানে কাজ শুরু করে দিয়েছেন। এদিকে সোমবার গোয়ার দু’বারের মুখ্যমন্ত্রী, নভলীম বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক তথা কংগ্রেস নেতা লুইজিনহো ফেলেইরোর পদত্যাগ ও তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুখ্যাতি করা, একসঙ্গে অনেক জল্পনার জন্ম দিয়েছে। একথা ঠিকই যে এই মুহূর্তে গোয়াতে বিজেপি ও তাদের সহযোগী দল অনেকটা সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছে।
আর ২০১৭ বিধানসভা নির্বাচনে ১৭ টা আসন পেয়েও বিরোধী দল হিসাবে কংগ্রেস তেমন কোনো ছাপ ফেলতে পারেনি বলেই অভিমত লুইজিনহো ফেলেইরোর। এমনিতে ছোটো রাজ্য হলেও গোয়ায় বিজেপি, কংগ্রেস ছাড়াও আরো দু-একটি স্থানীয় রাজনৈতিক দল রয়েছে। আছে আপ-এর মতো দল ও। ফলে সেরাজ্যে বিরোধী পরিসর দখল করে ক্ষমতাসীন হওয়া তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে যথেষ্ট টাফ জব। তবে ফেলেইরোর মতো দু’বারের মুখ্যমন্ত্রী বর্ষীয়ান এই ভূমিপুত্র তৃণমূল কংগ্রেস কে পশ্চিম ভারতের এই ছোট্ট রাজ্যে যে যথেষ্ট পরিচিতি দেবে তা বলাই যায়।