Date : 2024-04-19

করোনা আবহে গণেশ পুজো

শাহিনা ইয়াসমিন, রিপোর্টার : মুম্বইয়ের সঙ্গে সঙ্গে বিগত কয়েক বছর ধরে পশ্চিমবঙ্গে সাড়ম্বরে পূজিত হন গণপতি বাপ্পা। এবছর শহরের নানা প্রান্তে অনাড়ম্বরভাবে হলেও গণেশ বন্দনার আয়োজন করেছেন উদ্যোক্তারা। তাই তো কুমোরটুলিতে দেখা গেল গণেশ কেনার হিড়িক। তবে গণেশ কেনাতে পিছিয়ে নেই বাঙালি।

গণেশ পুজোর কথা বললে সবার আগে মনে আসে মহারাষ্ট্রের গণপতি বাপ্পার কথা। মহারাষ্ট্র ছাড়াও বিভিন্ন রাজ্যে সিদ্ধিবিনায়কের আরাধনা হয়। কিন্তু বিগত কয়েক বছরে পশ্চিমবঙ্গেও গণপতির আরাধনার আড়ম্বর বেড়েছে।তাইতো এখন বাড়িতে, ক্লাবে বিভিন্ন জায়গায় ধূমধাম করে পূজিত হন সিদ্ধিদাতা গজানন। ঠিক সেই কারণেই গণেশ কিনতে কুমোরটুলিতে দেখা গেল বাঙালি থেকে অবাঙালি ভিড়। তবে এই রেশারেশিতে বাঙালির সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে বইকি। এমনটাই তো জানাচ্ছেন কুমোরটুলির মৃৎশিল্পীরা।

সারি সারি সব আকারের গণেশ। কৃষ্ণ গণেশ, বাল গণেশ, শিব গণেশ, কোথাও আবার মাথায় পাগড়ি পরানো নানান সুসজ্জিত গণেশ রয়েছে । শুধু বিক্রির অপেক্ষায়। কলকাতা ছাড়া কলকাতার বাইরে থেকেও মানুষ আসছে কুমোরটুলিতে গণেশের মূর্তি কিনতে। ঠাকুর তৈরি করার সরঞ্জামের দাম বাড়লেও প্রতিমার দাম সেভাবে বাড়েনি। তাই করোনা পরিস্থিতিতে কমেছে গণেশের উচ্চতা।

10 বছর ধরে পুজো করছেন শ্রাবণী বোস। কুমোরটুলি থেকেই প্রতিবছর গণেশ নিয়ে যান। আগে গণেশ কেনার জন্য কুমোরটুলির ঘর খুজঁতে হতো। এখন ঘরে ঘরে গণেশ। এমনটাই জানালেন ক্রেতা শ্রাবণী বোস।

এমনিতেই 12 মাসে 13 পার্বণ বঙ্গবাসীর। করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও গণেশ পুজো হবে এবার। তাই বিক্রিও হবে, এমনটাই আশা রেখেছেন কুমোরটুলির মৃৎশিল্পীরা।